আগামী নির্বাচনেও তিন প্রেসিডেন্টপুত্র আওয়ামী লীগের প্রার্থী
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের ছয় আসনের মধ্যে তিনটি আসনে দৃশ্যত আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন মনোনয়নযুদ্ধ নেই। এই তিনটি আসন হচ্ছে, কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর), কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) এবং কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম)। দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতাটুকু ছাড়া এই তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা রয়েছে বলে দলীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।এই তিন আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলার তিন রাষ্ট্রপতির তিন ছেলে। তাঁরা হলেন, কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি, কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ছেলে ও বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন এমপি এবং কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি। কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর- এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ আসন। এ আসনে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের চারটি নির্বাচনে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সাল থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের তিন সরকারেই তিনি মন্ত্রী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রার্থী হবেন, এমন ধারণা আওয়ামী লীগসহ রাজনীতি সংশ্লিষ্ট সকলের। আপাদমস্তক সৎ এবং নিরেট ভদ্রলোক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দুর্গে ফাটল ধরানোর মতো কোনো দলের শক্ত প্রার্থী নেই।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন এবং হোসেনপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে পুনর্বিন্যাসকৃত কিশোরগঞ্জ-১ সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা। ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৮টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল কিশোরগঞ্জ-৩ আসন। জেলার ঐতিহ্যবাহী এ আসন থেকে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের ৭ই মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাকশাল গঠনের পর তিনি উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব লাভ করায় এ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপ-নির্বাচনে মো. আশরাফুদ্দীন আহমদ বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ডাঃ আবু আহম্মদ বজলুল করিম, ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান, ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলমগীর হোসেন, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মাওলানা আতাউর রহমান খান, ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মো. মাসুদ হিলালী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরআগে ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৭ (কিশোরগঞ্জ সদর এবং করিমগঞ্জ থানার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত) আসন থেকে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রধানতম পুরুষ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কিশোরগঞ্জ-১ (পাকুন্দিয়া-হোসেনপুর) আসনটি বিলুপ্ত করে দিয়ে জেলার ৭টি আসনের পরিবর্তে ৬টি সংসদীয় আসনে পুনর্বিন্যাস করা হয়। এতে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সঙ্গে হোসেনপুর উপজেলাকে যুক্ত করে দিয়ে গঠিত হয় কিশোরগঞ্জ-১ আসন। ১৯৯৬ সালের ১২ই জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচন থেকে টানা চারবার আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
স্থানীয়দের অভিমত, মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান হিসেবে পারিবারিক ঐতিহ্য এবং একজন সৎ, ভদ্র ও বিনয়ী মানুষ হিসেবে কিন ইমেজের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দলীয় অন্তর্কোন্দল বিগত নির্বাচনগুলোতে সৈয়দ আশরাফের বিজয় ত্বরান্বিত করে। এবারও প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সুযোগে আওয়ামী লীগ এখানে পূর্ণ স্বস্তিতে রয়েছে। ফলে দলীয় প্রার্থী নিয়ে অনেকটাই নির্ভার আওয়ামী লীগ। এই কারণে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে ঘিরেই এই আসনে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ছক কষছে। বন্দরনগরী ভৈরব এবং ভাটি অঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত কুলিয়ারচর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৬ সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা। এ আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত দশটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ’৭৩ সালের ৭ই মার্চ, ’৮৬ সালের ৭ই মে, ৯৬ সালের ১২ই জুন, ২০০১ সালের ১লা অক্টোবর ও ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পাঁচবার এ আসন থেকে নির্বাচিত হন।
বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর ২০০৯ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মো. জিল্লুর রহমান নির্বাচিত হলে এ আসনে ওই বছরের ৩রা এপ্রিল উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপ-নির্বাচনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতির ছেলে নাজমুল হাসান পাপন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালের ২০শে মার্চ রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান মারা যান। এরপরে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাজমুল হাসান পাপন আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর জিল্লুর রহমান এলজিআরডি মন্ত্রী হয়েছিলেন। তখন তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকা ভৈরব-কুলিয়ারচরসহ সারা জেলায় যথেষ্ট উন্নয়নকাজ করেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান পাপনও এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় রয়েছেন। তিনি একাধারে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, বেক্সিমকো ফার্মার মতো বৃহৎ ওষুধ প্রস্তুত ও বাজারজাতকরণ সংস্থার অন্যতম শীর্ষ কর্তা। পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন নিয়মিতই নির্বাচনী এলাকায় আসেন। এলাকার গণমানুষের নেতা হিসেবে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি এলাকার মানুষজনের কাছে প্রায়ই ছুটে আসেন তিনি। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নাজমুল হাসান পাপন দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন, এটা অনেকটাই নিশ্চিত।
স্থানীয়রা জানান, সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনের একটি পরিচ্ছন্ন ইমেজ রয়েছে। স্থানীয়ভাবে তিনি একজন সজ্জন মানুষ হিসেবে পরিচিত। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও ২১শে আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহত নারীনেত্রী আইভি রহমানের পুত্র হিসেবেও এলাকায় তাঁর একটি আলাদা ও সংহত অবস্থান রয়েছে। এছাড়া বিসিবি সভাপতির দায়িত্বপালনের বিষয়টিকেও স্থানীয়রা যথেষ্ঠ ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন। এসব নানা কারণে এ আসনে নাজমুল হাসান পাপন কেবল একজন শক্তিশালী প্রার্থীই নন, ভিআইপি প্রার্থীও।জেলার হাওর অধ্যুষিত ইটনা উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন, মিঠামইন উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসন। অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস ও নির্বাচনী ফলাফলের পরিসংখ্যানে এটি আওয়ামী লীগের দূর্ভেদ্য ঘাঁটি হিসেবে স্বীকৃত। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দশটি নির্বাচনের মধ্যে সাতটি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে ছয়টি নির্বাচনেই জয়লাভ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে একবারই পরাজিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপি প্রার্থী ফরহাদ আহম্মেদ কাঞ্চন। এছাড়া ১৯৮৮ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন আওয়ামী লীগ বর্জন করে। এছাড়া রাষ্ট্রপতি মো. হামিদ ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সর্বকনিষ্ঠ এমএনএ নির্বাচিত হন।
সর্বশেষ ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. আবদুল হামিদ। তাঁর শূণ্য আসনে ২০১৩ সালের ৩রা জুলাই অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক নির্বাচিত হন। এরপরে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। টানা দু’বারের এই সংসদ সদস্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যও। এলাকাবাসী বলছেন, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমনিতেই সজ্জন মানুষ। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি তাঁর মার্জিত ব্যবহার ও সদালাপি আচরণ দিয়ে ক্রমেই জিতে নেন হাওরবাসীর হৃদয়। সাদামাটা, নির্লোভ, নিরাবরণ জীবন নিয়ে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক যেন রাজনীতিতে তার পূর্বসূরী পিতা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদেরই উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি। রাষ্ট্রপতি পিতার সততার রাজনীতির আর্দশকে লালন করে তিনি ক্লান্তিহীন ছুটে চলেছেন হাওরপাড়ের মানুষের কাছে। হাওরের ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু কোন অসততা কিংবা কোন বিতর্ক নম্র, বিনয়ী এই মানুষটিকে ছুঁতে পারেনি। মানুষের সেবক হওয়ার দীক্ষা নিয়ে খোলা বইয়ের মতোই তিনি তাঁর জীবন মানুষের সামনে উন্মুক্ত রেখেছেন।
হাওরের লোকজনের মতে, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ব্যক্তি হিসেবে সৎ, নির্লোভ, নিরহংকারী, সহজ-সরল এবং সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। এছাড়া দলমত নির্বিশেষে সব মানুষকে আপন করে নেয়ার এক অসাধারণ গুণ রয়েছে তার। তার রাজনীতিও গণমূখী। হাওরবাসীর জীবন সংগ্রাম, কষ্ট-বেদনা তাঁকে প্রতিনিয়ত ছুঁয়ে যায়। তাদের দুঃখ-দুর্দশায় সব সময়ে বাড়ানো থাকে তাঁর পরম মমতার হাত। অসহায়ের সহায় হয়ে তিনি পাঁশে দাঁড়ান তাদের। যা হাওরে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় শক্তিশালী গণভিত্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। দলীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক দলীয় নেতাকর্মীদের সুখে-দু:খে, সমস্যার সমাধানে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে চলেছেন। আওয়ামী লীগকে তিনি হাওরের তিন উপজেলায় সাংগঠনিকভাবে সুসংসহ অবস্থানে নিয়ে যেতে পেরেছেন। দলকে আরো শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে হাওরের প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে প্রতিনিয়ত ছুটে যাচ্ছেন তিনি। দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য তাঁর দরজা দিনরাত খোলা থাকে। নেতাকর্মীরা সরাসরি, যখন-তখন তার সঙ্গে দেখা করেন, টেলিফোনে কথা বলেন, সমস্যার কথা জানান। তিনিও মন দিয়ে শোনেন এবং নেতাকর্মীদের সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালান। এই কারণে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝেও ব্যাপক জনপ্রিয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাপক উন্নয়ন করায় এলাকায় রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের বড় ভোটব্যাংক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সুখে-দুঃখে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ান বলে ভোটাররা তার প্রতি দুর্বল। রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ায় এ আসনে তাঁর দলীয় প্রার্থিতা নিয়েও কারো মনে সংশয় নেই।