আদালতে থেকে মামলার নথি ঘায়েব
সুনামগঞ্জ টেলিফোন বিভাগের বকেয়া বিল আদায় নিয়ে দায়ের করা মামলার নথি আদালতে পাওয়া যাচ্ছে না। আদালতের এক আদেশে ওই মামলার মূল নথি অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি বিষয়টি আদালতপাড়ায় জানাজানি হয়। মামলার বিবাদী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সদস্য সচিব মালেক হুসেন পীর ও তার আইনজীবী প্রদীপ কুমার নাগ। ওই মামলায় মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীরের বিরুদ্ধে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৩৪ টাকার বকেয়া টেলিফোন বিল না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। একইভাবে আরও অনেক গ্রাহকের বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা বকেয়া বিল আদায়ের মামলা হয়েছিল। ভৌতিক টেলিফোন বিল প্রদান করার কারণে হয়রানিমূলক এ মামলাটি হয়েছিল দাবি করে মালেক হুসেন পীর জানান, টেলিফোন বিভাগ ভৌতিক বিলের এ মামলা দিয়ে চিকিৎসক, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, মুক্তিযোদ্ধাসহ বেশ কয়েকজন সাধারণ গ্রাহককে হয়রানিতে ফেলা হয়েছিল। একেকজনের নামে দেড় লাখ টাকার ওপরে পর্যন্ত বিল প্রদান করা হয়েছিল। এখন আদালতে এ মামলার মূল নথিই পাওয়া যাচ্ছে না।
সুনামগঞ্জ সদর জোনের আমলগ্রহণকারী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শহীদুল আমিন ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ দেওয়া আদেশের একাংশে বলেছেন, এ মামলার মূল নথি দীর্ঘদিনের পুরান হওয়ায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পাওয়ায় এ উপনথি সৃজন করা হলো। নথি আদেশের জন্য উপস্থাপন করা হলো। সুনামগঞ্জ টেলিফোন বিভাগের ভৌতিক বিলকে কেন্দ্র করে ১৯৮৮ সালে ‘সুনামগঞ্জ টেলিফোন গ্রাহক সমিতি’ সৃষ্টি হয়। ওই সমিতি ১৯৮৯ সালের ১৫ এপ্রিল ভৌতিক বিলের প্রতিকার চেয়ে বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থার চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেন। ১৯৯০ সালে সুনামগঞ্জ টেলিফোন গ্রাহক সমিতি আদালতে মামলা দায়ের করেন। গ্রাহক সমিতি ওই মামলায় হেরে যাওয়ার পর টেলিফোন বিভাগ আমলগ্রহণকারী প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সুনামগঞ্জে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। একটি মামলায় মালেক হুসেন পীরসহ ৯ জন ও অপর মামলায় মনোহর মিয়াসহ আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে বকেয়া বিল না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। পরে মালেক হুসেন পীরসহ অনেক বিবাদী উচ্চ আদালতে রিট করেন। কিন্তু সবার রিট খারিজ হয়ে যায়। সম্প্রতি বিবাদী মালেক হুসেন পীর আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।-সূত্রঃ আমাদের সময়।