আদালতে ধাক্কা খেলো ট্রাম্পের নতুন মুসলিম নিষেধাজ্ঞা
রয়টার্স ও বিবিসি : আদালতে ধাক্কা খেলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংশোধিত মুসলিম নিষেধাজ্ঞাও। শুক্রবার উইসকনসিন আদালতের একটি রায়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পাওয়া এক সিরীয় উদ্বাস্তুর স্ত্রী ও সন্তানকে দেশটিতে নিয়ে আসতে কোনো হয়রানি না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই রায়ে ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ উইলিয়াম কনলে এ মামলায় তাদের কোনো ধরনের বাধা প্রদানের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। তবে এ রায় সামগ্রিকভাবে ট্রাম্পের সংশোধিত নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এটি সুনির্দিষ্টভাবে ওই সিরীয় উদ্বাস্তুর মামলার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও সন্তান এখনো যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে বসবাস করছেন।
এ রায়টি ট্রাম্পের সংশোধিত মুসলিম নিষেধাজ্ঞাবিষয়ক না হলেও এটাকে ট্রাম্প শিবিরের জন্য একটা ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ট্রাম্পের নতুন নিষেধাজ্ঞার একাধিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে এ রায়ও যুক্ত হলো। ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৬ মার্চ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প আরোপিত মূল নিষেধাজ্ঞাটি আইনি চ্যালেঞ্জে হেরে যাওয়ার পর সম্প্রতি দ্বিতীয় দফায় নতুন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। আগের নিষেধাজ্ঞা সংশোধন করে নতুন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করা হলেও আদতে তা আগের নিষেধাজ্ঞার মতো করেই মুসলিমদেরকে টার্গেট করা হয়েছে। নতুন আদেশটি জারি হওয়ার পরপরই তার বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় হাওয়াই অঙ্গরাজ্য। হাওয়াইয়ের মতো করেই নতুন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে আরো কয়েকটি অঙ্গরাজ্য। স্থগিতাদেশ বহালে অস্বীকৃতি এ দিকে ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফায় আরোপিত মুসলিম নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ বহাল রাখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জেমস রবার্ট। এর আগে সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের ওপর আরোপিত ট্রাম্পের প্রথম দফার মুসলিম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দিয়ে ট্রাম্প শিবিরের তোপের মুখে পড়েছিলেন তিনি। ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের পক্ষ থেকে বিচারপতি জেমস রবার্টের প্রতি অনুরোধ করা হয়, প্রথম দফার নিষেধাজ্ঞায় তিনি যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন সেটা যেন দ্বিতীয় দফার নিষেধাজ্ঞায়ও বহাল রাখা হয়। এ সময় ট্রাম্প শিবির থেকে যুক্তি দেখানো হয়, প্রথম দফার ওই নিষেধাজ্ঞা এরই মধ্যে বাতিল করা হয়েছে। ফলে এ-সংক্রান্ত আদেশের আর কোনো কার্যকারিতা নেই। ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের আইনজীবীদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে, পদ্ধতিগত কারণে আগের রায় পুনর্বহাল না করার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন বিচারক। তিনি বলেন, আইনজীবীদের উচিত এ বিষয়ে আরো বিশদ তথ্য-উপাত্ত হাজির করা।