আদালতে হাজির হয়ে জামিন পেলেন ইমরান
ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদী মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘কটূক্তির’ অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আদালতে হাজির হয়ে জামিন পেয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ও সনাতন উল্লাস।ইমরান ও সনাতন বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। আসামিপক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী প্রকাশ বিশ্বাস ও জীবনানন্দ জয়ন্ত। অন্যদিকে বাদীপক্ষে নোমান হোসাইন তালুকদার ও এ আদালতের পিপি মো. মকবুল হোসেন জামিনের বিরোধিতা করেন। অভিযোগ গঠনের শুনানিতে হাজির না হওয়ায় একই আদালত বুধবার ইমরান ও সনাতনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। সেইসঙ্গে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৬ অক্টোবর নতুন তারিখ ঠিক করে দেন বিচারক। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রব্বানী গত ৩১ মে এই মামলা করার পর ১৬ জুলাই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন ইমরান ও সনাতন।
আর্জিতে বাদী বলেন, গত ২৮ মে রাজধানীতে মশাল মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘কটূক্তি করা হয়’, তাতে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তিনি ক্ষুব্ধ, অপমানিত হয়েছেন।গণজাগরণ মঞ্চের ওই মিছিল থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠার পর ইমরানকে পেটানোর হুমকিও দিয়েছিলেন ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রব্বানী।পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার উদ্যোগে একটি মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে ইমরান এইচ সরকারকে শাহবাগে অবাঞ্ছিতও ঘোষণা করা হয়। গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান ছাত্রলীগেরই রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদের জামাতা। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালে শাহবাগে গণজাগরণের আন্দোলনের সূচনায় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে এর আহ্বায়কের দায়িত্ব নেন ইমরান। শুরুতে ছাত্রলীগ এই মঞ্চের সঙ্গে থাকলেও পরে সরে যায়। এখন বাম ছাত্র সংগঠনগুলো ও কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন মঞ্চে সক্রিয়।