আফগানিস্তানে সিরিজ হামলায় কমপক্ষে ৭৪ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে দেশটির পাকতিয়া ও গজনি প্রদেশে এ হামলা হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকালে আততায়ীরা রাজধানী কাবুল থেকে ১৬১ কিলোমিটার দূরে পাকতিয়া প্রদেশে পুলিশের আঞ্চলিক প্রধান কার্যালয়ের পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে হামলা চালায়। স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এরপর পরই সেখানে বন্দুকযুদ্ধ হয়।
এতে পুলেশের চিফ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোরালি আব্দিয়ানি সহ কমপক্ষে ৪১জন নিহত এবং দেড় শতাদিক মানুষ আহত হন। নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে ছিনতাই করা একটি ট্রাক ও অস্ত্রবাহী গাড়ি ব্যবহার করে আততায়ীরা এ হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন পাকতিয়ার ডেপুটি গভর্নর হিদায়েতুল্লাহ হামিদি। স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, হামলার দিন পুলিশ হেড কোয়ার্টারে ৪৫০ সদস্য বিশিষ্ট পুলিশের একটি বিশেষায়িত দল উপস্থিত ছিল। এছাড়াও পাকতিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ তাদের পাসপোর্ট এবং পরিচয় পত্র সংগ্রহের জন্যে সেখানে গিয়েছিলেন। অকস্মাৎ এ হামলায় তাদের অনেকেই হতাহত হয়েছেন। সরকারি ভাষ্যমতে, ২১জন বেসামরিক লোক এই হামলায় নিহত হয়েছেন। বলা হয়েছে, ৭ জন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত এই হামলায় অংশগ্রহণ করে। তার ভেতর দু’জন বোমাবর্ষণে এবং বাকি ৫জন পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত ছিলো। গোলাগুলির এক পর্যায়ে বিশেষায়িত পুলিশের একটি দল হামলাকারীদের পরাস্ত করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তালেবানের মুখমাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ এ হামলার দ্বায় স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, হামলাকারীদের প্রাথমিক টার্গেট ছিল পুলিশের বিশেষায়িত দলটি। অন্যদিকে আরেকটি পৃথক হামলায় গজনি প্রদেশে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। নিহতের বেশিরভাগই পুলিশ কর্মকর্তা। গজনির স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে আততায়ীরা প্রথমে একটি অস্ত্রবাহী গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটায় এবং পরবর্তীতে বন্দুকযুদ্ধ আরম্ভ করে। অবশ্য তালিবান মুজাহিদ দাবি করেছে, এ হামলায় ৩০ জন নয়, নিহত হয়েছেন ৪৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, এ হামলায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র এবং গোলাবারুদ তাদের দখলে এসেছে। আফগানিস্তানের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেনারেল মুরাদ আলী মুরাদ বলেন, তালিবান এবং তাদের বিদেশী মিত্ররা বর্তমানে বেগ পাওয়া শান্তি আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করতেই এ হামলা চালিয়েছে। অপরদিকে, এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড সিনেটের আর্মড সার্ভিস কমিটির এক সভায় বলেছিলেন, তিনি সন্দেহ করছেন যে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের আঁতাত রয়েছে।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn