মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলেছেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ ছাড়বো না। আমার পরিচয় আমি আওয়ামী লীগের সাবেক কর্মী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবো না। গত নির্বাচনে জয় বাংলা, জয় ধানের শীষ শ্লোগান দিয়ে এবং মুজিব কোট পরেই আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’ দীর্ঘ ২২ মাস পর নিজ সংসদীয় আসন কুলাউড়ায় এসে শহরের বিছরাকান্দিস্থ সাংসদের নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আগামী নির্বাচনেও কি নৌকা প্রতকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, ‘গত নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর সহচর ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। নির্বাচনে প্রার্থী হতে কৌশলগত কারণে শুধু গণফোরামের সদস্য হয়েছিলাম। আমি অন্য দলে যোগদান করিনি কখনো, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির বাহিরে যাইনি।’
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আরো বলেন, ‘ধানের শীষ বিএনপির প্রতীক ছিলো না। মূলত ধানের শীষ মাওলানা ভাসানীর দল ন্যাপের প্রতীক। তাই জয় বাংলার সাথে জয় ধানের শীষ শ্লোগান দিয়ে নির্বাচন করেছি। এটা অস্বীকার করবো না। আমি যতদিন সুস্থ থাকবো গণমানুষের পক্ষে রাজনীতি করে যাবো। রাজনীতি করলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে হবে এমন নয়। ইতিহাস স্বীকৃত রাজনীতি করে যাবো। সেটা সময়ই বলে দেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো কি না। আগামীতেও আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির উল্টো স্রোতে গিয়ে ও মুক্তিযোদ্ধের বিপক্ষের শক্তির সাথে নির্বাচন করবো না। আমি আমার সৃষ্টি থেকে সরবো না।’ তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনে আমার হয়ে কাজ করতে গিয়ে যারা মামলা, হামলার শিকার হয়েছেন সবাইকে আমি সহযোগিতা করেছি। সুবিধা দিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, কুলাউড়া আসনের সাংসদ ও সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামীলগের সাংগঠনিক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এক এগারো’র পর থেকে সংস্কারবাদি হিসেবে দল থেকে নির্বাসিত রয়েছেন। দল থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর জনসভা ও গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে বেশ আলোচিত হোন তিনি। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই সময় নির্বাচনী সমাবেশেও সরকারের ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে বক্তব্য দেন তিনি। নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০১৯ সালের মার্চে শপথ নেন সংসদ সদস্য হিসেব। শপথ নিয়ে সরকারের প্রশংসায় আবার পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর সর্বশেষ নিজ সংসদীয় আসনে এসেছিলেন। দীর্ঘ ২২ মাস পর গত বুধবার আবার নিজ সংসদীয় আসনে আসেন।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৩৮ বার