আ’লীগ কখনোই সুষ্ঠূ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি-তারেক রহমান
০প্রণব মুখার্জির বইয়ের বক্তব্য বাংলাদেশের জন্য লজ্জার ০প্রমাণিত হয়েছে, ওয়ানইলেভেন ছিল ষড়যন্ত্রের ফল ০ নির্বাচনের বছর লুটেরারা টাকা পাচার বাড়িয়ে দেবে ০ঐক্যবদ্ধ থাকুন ,ঐক্য বিনষ্টের চক্রান্ত হতে পারে ০নির্বাচন সুষ্ট হলে বিএনপিই জিতবে ০কথা দিয়ে নয় কাজ দিয়ে নির্বাচন কমিশন কেনিরপেক্ষতা প্রমান করতে হবে
লন্ডন প্রতিনিধি : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপার্সন তারেক রহমান বলেছেন বাংলাদেশে কখনোই কোনো সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। প্রতিবারেই ভোট কারচুপি, ব্যালট বাক্স ছিনতাই কিংবা সন্ত্রাস বা ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিতে হয়েছে। কিন্তু দেশে যখনি জনগণ স্বাধীন ও সুষ্ঠুভাবে ভোটে দেয়ার সুযোগ পেয়েছে প্রতিবারই বিএনপি জয়ী হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনও যদি অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে জনগণের ভোটে বিএনপি জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে ইনশাআল্লাহ। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর ) লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পূর্ব লন্ডনের দ্য রয়্যাল রিজেন্সি হোটেলে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক। সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদের পরিচালনায় সবাই আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম এবং মেজর (অব:) আবু বকর সিদ্দিকসহ অনেকে।
প্রায় একঘন্টা ১০ মিনিটের বক্তব্যে তারেক রহমান আওয়ামী লীগের ভোটচুরির ইতিহাস, আগামি জাতীয় নির্বাচন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, শোয়া এককোটির বেশি নতুন ভোটার, আওয়ামী লীগের দুর্নীতি ও টাকা পাচার এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের হয়রানিমূলক মামলা ও হয়রানিসহ নানা ইস্যুতে কথা বলেন। তারেক রহমান বলেন, ২০০০ সালে দেশের সর্বোচ্চ আদালত শেখ হাসিনাকে বলেছে রং হেডেড আর ২০১৭ সালে দেশে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে প্রমাণিত শেখ হাসিনার সরকার অবৈধ। জনগণ এতদিন বলে এসেছে বর্তমান সরকার অবৈধ এবং তাদের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক নেই, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে জনমতের আইনগত ভিত্তি পেয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশন বলেছেন জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, এই মন্তব্যের সূত্র ধরে তারেক রহমান বলেন কথা দিয়ে নিরপেক্ষ হওয়ার চেষ্টার পরিবর্তে কাজ দিয়ে নিরপেক্ষ হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ছয় মাস, এক বছর কিংবা আরো কয়দিন পর যখনি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেটি হতে হবে অবাধ সুষ্ঠু পরিবেশে,সহায়ক সরকারের অধীনে। তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশে যে কয়টি নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হয়েছে সকল নির্বাচনেই জনগণের রায়ে ক্ষমতায় এসেছে বিএনপি। দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছিল ১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন । সেই নির্বাচনেও জয়ী হয়েছে বিএনপি। তারেক রহমান বলেন আগামীতে যখনই নির্বাচন হবে সেই নির্বাচন আওয়ামী লীগ এবং তাদের নেতৃত্বাধীন জোটের কাছে দূর্নীতি আর লুটপাটের টাকা রক্ষার নির্বাচন। আর বিএনপির কাছে সেটি গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্ভভৌমত্ব সংহত করার নির্বাচন।
তারেক রহমান বলেন, শেখ মুজিব থেকে শেখ হাসিনা সব আমলেই প্রমাণিত হয়েছে , আওয়ামী লীগ কখনোই বাংলাদেশে কোনো সুষ্ঠূ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারেনি কিংবা কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারেনি। ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ সারাদেশে অনুষ্ঠিত ৩০০ আসনের প্রথম পার্লামেন্ট নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৯৩ টি আসনে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে।সভায় তারেক রহমান সেই সময়কার পত্রপত্রিকা থেকে ওই নির্বাচনে নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে বলেন, তখন প্রধান বিরোধী দল ছিল জাসদ। তারা পেয়েছিলো একটি আসন। পরদিন জাসদ নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। ওই সংবাদ সম্মেলনে জাসদ অভিযোগ করেছিল, “নির্বাচনের দিন গণভবনেই নির্বাচনী কন্ট্রোলরুম স্থাপিত হয়েছিল এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব নির্বাচনের ফলাফল নিয়ন্ত্রণ করেছেন। বিরোধী দলের প্রার্থীরা যখন ভোট গননায় এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই অকস্মাৎ বেতার টেলিভিশনে এই সকল কেন্দ্রের ফলাফল প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয় এবং সন্দেহজনকভাবে দীর্ঘ সময় পর নিজেদের পছন্দসই ভোটের সংখ্যা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তারেক রহমান বললেন, নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ শেখ মুজিবের বিরুদ্ধেও ছিল. আওয়ামী লীগের ভোট জালিয়াতির স্বভাব এখনো পাল্টায়নি।
তারেক রহমান অভিযোগ করে বলেন, ৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের আগেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, প্রশাসনের সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে তথকথিত “জনতার মঞ্চ” বানিয়ে চারদিকে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এভাবে এক অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতা দখল করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ২০০৮ সালের কথিত ওয়ান ইলেভেন ছিল একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ফল। সেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় দখল করে আওয়ামী লীগ। তারেক রহমান বলেন, ক্ষমতায় আসার জন্য ওয়ান ইলেভেন ছিল একটি ষড়যন্ত্রের ফল এর প্রমান মেলে সম্প্রতি প্রকাশিত ভারতের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির লেখা একটি বইতে। “দ্যা কোয়ালিশন ইয়ার্স, ১৯৯৬-২০১২” . বইতে তিনি লিখেন …”২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ ছয় দিনের সফরে ভারত এলেন.. তিনি আমার সাথেও সাক্ষাত করলেন …..জেনারেল মইন ভয় পাচ্ছিলেন যে, শেখ হাসিনা বের হয়ে আসার পর মইনকে চকিরিচ্যুত করতে পারেন । কিন্তু আমি ব্যক্তিগত দায়িত্ব নিই এবং শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলেও তার চাকরিতে বহাল থাকার ব্যাপারে তাকে আশ্বস্ত করি।
তারেক রহমান বলেন এই বক্তব্যে প্রাণ হয়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবেন এটা জেনারেল মঈন এবং প্রণব মুখার্জি তারা আগে থেকেই জানতেন। তারেক রহমান বলেন, সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক। বইয়ের এই বক্তব্য ভারতের জনগণের জন্য কৃতিত্বের মনে হলেও স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। দেশের জনগণ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ নয়, তার শক্তি অন্যকোথাও, অন্য কোনোখানে। গণতন্ত্রে নয়,শেখ হাসিনার বিশ্বাস ষড়যন্ত্রে, মন্তব্য করেন তারেক রহমান। তারেক রহমান বলেন, আগামীতে জাতীয় নির্বাচন হলে প্রায় সোয়া এক কোটি নতুন ভোটার ভোটে দেবে। তিনি নতুন ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আপনারা যাতে আপনাদের ভোটাধিকার সুষ্ঠু সুন্দর ও নির্ভয়ে প্রয়োগ করতে পারেন তেমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করতে আন্দোলন চলছে। আপনারা যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্ভয়ে নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
তারেক রহমান বলেন, নিয়মানুযায়ী এ বছরই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ফলে নির্বাচনকে সামনে রেখে আগেই নিজেদের নিরাপদ করতে আওয়ামী লুটেরা চক্র বিদেশে টাকা পাচার বাড়িয়ে দিতে পারে।তারেক রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি, জিএফআই সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলেছে, গত দশ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৬ লাখ কোটি টাকা । তারেক রহমান বিশেষ করে দেশ প্রেমিক প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে দেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচারকারীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, কেউ যাতে টাকা পাচার করতে না পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ডাকাতির সঙ্গে জড়িতরা, টাকা পাচারকারীরা কে কোন দেশে কি করছে সে দিকে দৃষ্টি রাখার আহবান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জনগনে পাচার হওয়া টাকা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি শেখ হাসিনা আমেরিকায় গিয়ে কিছুদিনের জন্য একটি বিলাসবহুল বাড়িতে ছিলেন। সেই প্রাসাদের দাম নিয়েও নানারকমের খবর বেরিয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মামলা সম্পর্কে সরকারের তাড়াহুড়োর ব্যাপারে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, বর্তমানে দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩১ লাখেরও বেশি। লক্ষ লক্ষ মামলা রেখে খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে সরকারের এতো বেশি আগ্রহ কারণ কি? তিনি বলেন, তারপরও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বারবার আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আদালতে হাজির হয়েছেন। লন্ডন থেকে দেশে ফিরেও পরদিনই আদালতে গিয়েছেন। আদালতকে সম্মান দেখিয়ে খালেদা জিয়া যথানিয়মে আদালতে যাচ্ছেন এখন সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আদালত নিজেই বিচার বিভাগের মর্যাদা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে পারে কিনা এটি আদালতকেই প্রমান করতে হবে। তারেক রহমান বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর তাকে স্বাগত যাতে বিমানবন্দরে কিংবা মায়ামনমার থেকে জীবন ভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজার আসা যাওয়ার পথে লাখো লাখো জনগণের উপস্থিতি প্রমান করে বাংলাদেশে বিএনপিই এখন জনগণের কাছে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। বিএনপির বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা রটনাকারী একদল সাংবাদিক নামধারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারেক রহমান বলেন, যে সমস্ত গনমাধ্যম কিংবা সাংবাদিক বিএনপির বিরুদ্ধে দিনের পর দিন মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমুলক অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন তা থেকে বিরত থাকুন। অন্যথায় জনগণ আপনাদেরকে নিম্নশ্রেণীর মানুষ হিসেবেই বিবেচনা করবে।
তারেক রহমান বলেন, বছরে পর বছর ধরে দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের উপর সীমাহীন জুলুম নির্যাতন নীপিড়ন চলছে, হামলা মামলা হয়েছে, হচ্ছে, অনেক নেতা কর্মী গুম খুন হয়েছেন। তারপর বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পরাস্ত করতে পারেনি সরকার । বিভ্রান্ত করতে পারেনি। ফলে ষড়যন্ত্রকারীরা এখন চেষ্টা করবে ঐক্য বিনষ্ট করার। তারেক রহমান বলেন, কুচক্রিমহল জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্য বিনষ্ট করতে নানারকম সন্দেহ সংশয় ছড়ানোর চেষ্টা করছে। কোনো সংশয়ে কিংবা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে একমাত্র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বানের মেনে চলার জন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি তিনি আহবান জানান। তারেক রহমান বলেন, দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তি যারা একটি সুসংহত সমৃদ্ধ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দেখতে চায় তাদের জন্য জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস একটি গুরুত্ববহ দিন। ক্ষমতা দখল পাল্টা দখলের খেলায় আওয়ামী লীগের বিবদমান গ্রূপ এবং সে সময়কার জাসদ তথা গণবাহিনীর মধ্যে দ্বন্ধ সন্ত্রাসে ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই অরাজক পরিস্থিতিতে
৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশের জনগন দ্বিতীয়বারের মতো শুনতে পেলো একটি কণ্ঠ, আমি জিয়া বলছি। এর আগেও ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতকামী জনগন এই সাহসী কন্ঠ শুনেছিলো। ৭ মার্চ তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল সফল হয়েছিলেন জিয়া। তারেক রহমান বলেন, এখন নানাভাবে জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া কিংবা জিয়া পরিবারের ইমেজ বিনষ্ট করতে নানাভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অপপ্রচার চালিয়ে নতুন প্রজন্মের কিছু অংশকে কিছুদিনের জন্য কিছু সময়ের জন্য হয়তো বিভ্রান্ত করা যাবে, কিন্তু ইতিহাসের সত্যকে চিরদিনের জন্য চাপা দিয়ে রাখা যাবেনা। তিনি বলেন, র্যাব পুলিশের বন্দুক কিংবা হামলা মামলা করে বা আদালতের রায় নিয়ে জিয়াউর রহমানকে চাপিয়ে দেয়া হয়নি বরং তিনি জনগণের হৃদয়ে আসন করে নিয়েছেন নিজের বিচক্ষণতা ও কর্মের মধ্য দিয়ে। তারেক রহমান প্রশ্ন করেন, ১৯৭৫ সালের ২রা নভেম্বর দিবাগত রাতে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে অবৈধভাবে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করে নিজেকে সামরিক বাহিনী প্রধান ঘোষণা করেন ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররাফ। ক্ষমতার দ্বন্দে তার সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে জাসদ তথা গণবাহিনী। সিপাহী জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবে এ সকল অপশক্তি পরাজিত হয়েছে ৭ নভেম্বর। তিনি প্রশ্ন করেন , এই সকল অপশক্তি এখন কেমন করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে একজোট হয়? তারেক রহমান বলেন, এটি প্রমান করে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন এই চক্রটির কোনো আদর্শ নেই। তাদের আদর্শ যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারেক রহমান বলেন, এই সরকার জনগণকে উন্নয়নের গল্পশোনায়।কিউন্নয়ন? কিসেরউন্নয়ন? আওয়ামীলীগের আট বছরের শাসনামলে এখন দেখছি একটু বৃষ্টি হলেই রাজধানী পানির নিচে ডুবেযায়।উন্নয়নের অবস্থা এমন ভয়াবহ যে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ মন্তব্য করে উন্নয়নের নমুনা-বৃষ্টিহলেইযমুনা”. আরেকজন মন্তব্য করেছে, আমাদের রাজধানীর সকল বাঁকেবাঁকে একটু বৃষ্টি হলেই সেথায় হাটুজল থাকে।এই হলো আওয়ামী উন্নয়নের নমুনা।তারেক রহমান বলেন,তারা নাকি আরো১০-১৫বছরক্ষমতায় থাকতে চায়। “তাহলেতো রাজধানীতে স্টীমার চলবে’ মন্তব্য করেন তারেক রহমান।
ওএনবি (লন্ডন)