বার্তা ডেক্সঃঃচুরি করতে গিয়ে দেখে ফেলায় ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর পরিকল্পিত হামলা হয়েছে।শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এ দাবি করেন। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ইউএনও ওয়াহিদার ঘরে হামলাটি ছিল পরিকল্পিত। এ ঘটনায় সারা দেশে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় ব্যাটালিয়ন আনসার নিয়োগের দাবি তুলেছেন তিনি। হেলালুদ্দীন বলেন, কোনো কোনো মহল ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য বিচ্ছিন্ন ও চুরির ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়ার অপপ্রচার চালাচ্ছেন। অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, এটি কোনো চুরির ঘটনা নয়। কারণ দুর্বৃত্তরা কোনো প্রকার জিনিস চুরি করেনি বা খোয়া যায়নি। এটি একটি পরিকল্পিত আক্রমণের ঘটনা এবং এর সঙ্গে আরও অনেক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে। তিনি বলেন, ইউএনও ওয়াহিদাকে সৎ ও নির্ভীক কর্মকর্তা। বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল বেআইনি তদবিরে ব্যর্থ হয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন এই সিনিয়র সচিব।

নবীরুল ও সান্টু কুমার ৭ দিনের রিমান্ডে

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া নবীরুল ও সান্টু কুমার বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। শনিবার দিনাজপুর আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পরে ওই ঘটনায় তাদের কোনো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় ছেড়ে দেয়া হলেও তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আরও অনেকেই আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা নজরদারিতে আছে। পরে এ ঘটনায় যদি নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়, তাও মামলার তদন্তের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। ইউএনও’র ভাই শেখ ফরিদ উদ্দীন জানান, সিসিটিভি ফুটেজ ও সকালে উদ্ধারের সময় হিসেবে করে দেখা গেছে হামলার পর সাড়ে ৪ ঘণ্টা রক্তাক্ত অবস্থায় কক্ষে পড়ে ছিলেন ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার পিতা ওমর আলী শেখ। সিসিটিভির ফুটেজ অনুযায়ী, বুধবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে টয়লেটের ভেন্টিলেটর খুলে কক্ষে প্রবেশ করেন দুষ্কৃতকারীরা। হামলা চালিয়ে আধাঘন্টা পর রাত প্রায় ২ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান তারা। সকাল সাড়ে ৬টার সময় জ্ঞান ফিরে বাবা ওমর আলী শেখ গোঙানি শুরু করলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। র‌্যাব অধিনায়ক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের একজনের গায়ে লাল শার্ট দেখতে পায় তারা। শার্টের সন্ধানে আসাদুলকে গ্রেফতার করলে সে ওই শার্ট তার নিজের বলে স্বীকার করে। পরে আসাদুল ঘটনার সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তার সহযোগীদের নাম বললে র‌্যাব তাদের গ্রেফতার করে

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn