ঢাকা: গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৪২০ ফিলিস্তিনি নাগরিককে আটক করেছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। তার মধ্যে ২২ নারীসহ ৭০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক রয়েছেন। গতকাল শনিবার ফিলিস্তিনের প্রিজনার্স সেন্টার ফর স্টাডিজ কর্তৃক প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রদান করা হয়। সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের দখলকৃত গাজা থেকে ৫ জেলেসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী তাদের নৌকা ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের আটক করার আগে বেইত হানুন ক্রসিং থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযোগ, সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টাকালে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

দখলকৃত পশ্চিম তীরের হেব্রন জেলা থেকে হুমাম মোহাম্মদ হানতাশ নামে এক সাংবাদিককেও গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কোনো ধরনের অভিযোগ, বিচার ছাড়া অপ্রকাশিত প্রমাণের ভিত্তিতে কাউকে কারাগারে পাঠানোর জন্য ইসরায়েলি নীতি ব্যাপকভাবে সমালোচিত। সংস্থাটি আরও জানায়, একই সময়ে ইসরায়েলের আদালত ৮৮টি প্রশাসনিক আটকাদেশ জারি করেছে। প্রথম বার ২৩টি এবং পরে ৬৫টি নবায়ন আদেশ জারি করা হয়। ইতিমধ্যে হেব্রনে ৩২টি আটকাদেশ জারি করা হয়েছে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে।

ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, প্রশাসনিক আটকাদেশের সময় তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তিন থেকে ছয় মাস নবায়নযোগ্য কারাদণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য এটির প্রয়োজন রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, এই নীতির কারণে ইসরায়েল অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনের নাগরিকদের বিনাবিচারে আটকে রাখার অনুমতি পায়। আটকে রাখার জন্য কোনো ধরনের তথ্য-প্রমাণও উপস্থাপন করতে হয় না। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলের প্রশাসনিক আটকাদেশ নীতি ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতেও ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের রাজনীতিবিদ, মানবাধিকারকর্মী এবং গণমাধ্যম কর্মীদের লক্ষ্য করে আটক করা হয়। মানবাধিকার সংস্থা আদামির জানায়, জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সাড়ে ছয় হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তার মধ্যে ৫৩৬ জন প্রশাসনিক আটকাদেশের আওতায় আছেন। খবর: ন্যাম নিউজ নেটওয়ার্ক।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn