ঈদের দিন করেছিলেন ‘হত্যা’, আজ করলেন ‘আত্মহত্যা’
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রবিউল ইসলাম হৃদয় (২৫) আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পুলিশের। তাকে শুক্রবার রাতে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখানে রবিউল ইসলাম হৃদয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে রবিউল ইসলাম হৃদয় একটি কীটনাশাকের বোতল নিয়ে থানায় আসেন। তিনি থানার ওসি মো. জাবেদুল ইসলামের কাছে গিয়ে নিজেকে হত্যা মামলার আসামি পরিচয় দিয়ে বিষপান করার কথা জানান। ওই সময় পুলিশ দ্রুত তাকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে রবিউলের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ খোঁজ-খবর নেয়নি। তবে শুক্রবার সুরতাহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য তাকে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখান থেকে রবিউল ইসলাম হূদয়ের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
হত্যা মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দেয়াকে কেন্দ্র করে গত ২১ আগস্ট প্রতিবেশী সাইফুল ইসলামের সাথে বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রবিউল ইসলাম হৃদয় ছুরি দিয়ে সাইফুলের পেটে আঘাত করে। পরে ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইফুল মারা যান। এ ঘটনায় রবিউলকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাইফুলের বাবা নুরুল ইসলাম। সাইফুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর সেটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আল আমিন ও থানার ওসি আবদুল মান্নান বলেন, পুলিশের তত্তাবধানে রবিউলকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া অবস্থায় মারা গেছে। সে বিষপানের বিষয়টি স্বীকার করে গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে তাঁকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।