এডুকেশনইউএসএ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পরিচালিত একটি শিক্ষাবিষয়ক অফিশিয়াল নেটওয়ার্ক। আমেরিকায় পড়তে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণসংক্রান্ত সঠিক, বিস্তারিত ও সর্বশেষ তথ্য এ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশে এডুকেশনইউএসএর চারটি পরামর্শ কেন্দ্র রয়েছে।
ওয়েবিনারে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অ্যাসিস্ট্যান্ট কালচারাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার খাদিজা মাহমুদ বলেন, করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে শিক্ষার্থীদের ভার্চ্যুয়াল সেশনের মাধ্যমে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা নানা সংস্কৃতির মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ পায়। বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোই তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকে। এখানে তারা বিশ্বমানের শিক্ষার সুযোগ পায়। সৃজনশীলতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কনসুলার অফিসার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়া এবং সাক্ষাৎকারের প্রক্রিয়াটিকে অনেকে যত কঠিন মনে করেন, এটা ততটা কঠিন নয়। তিনি বলেন, সাক্ষাৎকারপর্বে এসে অনেকেই ভড়কে যান, ভয় পান বা নার্ভাস থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা যাতে সহজ হতে পারে, তেমনভাবেই সাক্ষাৎকারপর্বটি হয়। দূতাবাসের এই কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীকে নিজের বিষয়ে ও তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সৎ হতে হবে। ভিসার সব শর্ত পূরণ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত জান্নাতুল ফেরদৌস সোমা এডুকেশনইউএসএর সহযোগিতা থেকে শুরু করে পড়তে যাওয়ার নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এডুকেশনইউএসএতে বিভিন্ন সেশনে অংশ নিয়ে তাঁর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। যোগাযোগসহ বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতাও অর্জন করেছেন তিনি। যাঁরা পড়তে যাবেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে জান্নাতুল ফেরদৌস সোমা বলেন, স্নাতক পর্যায় থেকেই নিজেকে ধাপে ধাপে গড়ে তুলতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত নাসরুল্লাহ বাবর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার অন্যতম সুবিধা হচ্ছে বিশ্বের সব বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলা যায়। নিজের দুই মেয়ের যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়া নিয়ে প্রথমে কিছুটা দুশ্চিন্তা থাকলেও এডুকেশনইউএসএ তাঁর সেই চিন্তা দূর করেছে বলে জানান অভিভাবক তানযীবা মইন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই উচ্চশিক্ষা তাঁর মেয়েদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
এডুকেশনইউএসএর পরিচালক সোহেল ইকবাল বলেন, যার প্রস্তুতি যত ভালো হবে, তার ফল তত ভালো হবে। তিনি শিক্ষা মেলার বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, ২৭ আগস্ট এবং ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এডুকেশনইউএসএ আয়োজিত ‘সাউথ এশিয়া ফল ভার্চ্যুয়াল ট্যুর ২০২১’–এ অংশগ্রহণ করবে।
২৭ আগস্টের মেলাটি হবে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য এবং ৩ সেপ্টেম্বরের মেলা যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসোসিয়েট বা স্নাতক ডিগ্রি অর্জনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য। মেলা দুটি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে। এ দুটি মেলা এডুকেশনইউএসএর ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের পরামর্শকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করা হবে। প্রতিটি মেলায় যুক্তরাষ্ট্রের ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নেবে। মেলায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে এডুকেশনইউএসএ বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাক রাশেদুল আলম। সূত্র : প্রথম আলো