উদ্বোধনের অপেক্ষায় দোয়ারাবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন
দোয়ারাবাজার : কোনো ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটলেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপাকে পড়তো দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দারা। উপজেলায় কোনো ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় বড় ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কিংবা উদ্ধার কাজে সহযোগিতা নিতে হতো পার্শ্ববর্তী ছাতক উপজেলা এবং জেলা শহর সুনামগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের। এই দুই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহযোগিতা-ই ছিলো কেবল শেষ ভরসা।
উপজেলায় কোনো ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় একটি নিজস্ব ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সেবা প্রাপ্তি ছিলো উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় কাক্সিক্ষত স্বপ্ন এখন বাস্তবে পরিণত হতে যাচ্ছে। ২০১৯ সালের ২৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে দোয়ারাবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন এমপি মানিক। দুই বছরের মাথায় উপজেলাবাসীর স্বপ্নের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নির্মাণ কাজ এখন শেষ। এখন কেবল উদ্বোধনের পালা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের পশ্চিম পাশে দৃশ্যমান দৃষ্টিনন্দন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এখন নজর কাড়ছে পথচারীদের। এক নজর দেখতে প্রতিদিনই এখানে ভীড় জমছে কৌতূহলী মানুষের। এটির উদ্বোধন হলে সেবা পাবে উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগ জানায়, নবনির্মিত দোয়ারাবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের নির্মাণ কাজে বরাদ্দ ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ও গণপূর্ত বিভাগ কাজ বাস্তবায়ন করেছে। কার্যক্রম শুরু হয়ে গেলে এখান থেকে অন্যান্য স্টেশনের মতো অগ্নিনির্বাপণ সেবা ছাড়াও বিভিন্ন উদ্ধার কাজের সেবা পাওয়া যাবে।
অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম বীরপ্রতীক বলেন, আমাদের এই দুর্গম উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এতোদিন যাবৎ স্বপ্ন ছিলো। ইউপি সদস্য তাজির উদ্দিন বলেন, আমাদের উপজেলায় এই প্রথম একটি নিজস্ব ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মিত হয়েছে। এটা উপজেলাবাসীর জন্য অনেক বড় ধরনের প্রাপ্তি। এভাবেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক। এখানে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগের দাবি জানাই।
সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম ভূঞা বলেন, দোয়ারাবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হ্যান্ড ওভার করলেই কার্যক্রম শুরু হবে। এই স্টেশনের অনুকূলে গাড়ি আছে। কিন্তু জনবল নেই, তবে সংযুক্তি জনবল নিয়ে আমরা কার্যক্রম শুরু করব। এছাড়া অন্যান্য সরঞ্জামাদি আছে।