উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা নেই তবু তারা উপাচার্য : ড. কামাল
তিনি আরো বলেন, ‘একাত্তরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা জীবন দিয়েছিলেন, তার মাধ্যমে আমরা সুযোগ পেয়েছিলাম। স্বাধীনতাটা হলো আমাদের জন্য বড় সুযোগ। এই সুযোগটা স্বাধীনতার আগে স্বপ্ন ছিল। স্বাধীনতার পরে অনেকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে।’ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. রেহমান সোবহান বলেন, ‘সরকার মোনায়েম খানকে গভর্নর নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে শাসন করার অপচেষ্টা শুরু হয়। মোনায়েম খান গভর্নর হওয়ার পর মাহমুদ হোসেনকে সরিয়ে ওসমান গনিকে উপাচার্যের দায়িত্ব দেন। এরপর থেকে শুরু হয় দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ। নিয়োগের ক্ষেত্রে লেজুড়বৃত্তি তখন থেকেই শুরু। ছাত্র রাজনীতির জন্ম তখনই। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার আন্দোলন গড়ে তুলেছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা পরিবর্তনটা দেখেছি। স্বার্থের জন্য কিছু মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবহার করেছে। পরে তারাই আবার ক্ষমতায় উন্নীত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে শাসন করেছে। আমাদের শিক্ষকতার যুগে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি দেয়া হতো। কিন্তু এখন দলীয় লেজুড়বৃত্তি ছাড়া কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় না। এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষার মানকে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। রাজনীতির অনুপ্রবেশ বন্ধ হলে এর সুরাহা হবে।’ ড. রওনক জাহান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়লেও মানটা কমে যাচ্ছে। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, শিক্ষক নিয়োগসহ গুরূত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কিছু নীতি কঠোরভাবে মেনে চলা হয়। সেখানে প্রফেসর বা ডিন হওয়ার জন্য আগ্রহ দেখায় না কেউ। প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের ভারে গবেষণা করার সময় পাবে না বলে তারা এ আগ্রহ দেখায় না। আর আমাদের দেশে মতা পেয়ে আইন ভঙ্গ করে অন্যায় কাজ করে। এই অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শিক্ষকদের নিজেদের স্বার্থে ছাত্র বা ছাত্রনেতাদের ব্যবহার করা ঠিক নয়।