সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলতি বছরের টিউশন ফি মওকুফ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মওকুফ করা হবে একবছরের পরিবহন ফিও। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্কটের কথা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি একাডেমিক কাউন্সিল, অর্থনৈতিক কমিটি, সিন্ডিকেটে অনুমোদনে করাতে হবে। তবে অনুমোদন করাতে কোনো সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। করোনা সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও সীমিত আকারে অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম চলছে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অ্যধাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদালয়ে একবছরে একজন শিক্ষার্থীকে সবমিলিয়ে ৪ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। এরমধ্যে আমরা প্রায় ৪২ শতাংশ মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। টিউশিন ফি ছাড়াও পরিবহন ফি’র ৫৩০ টাকাও এবছর দিতে হবে না শিক্ষার্থীদের।
চলতি শিক্ষাবর্ষে জানুয়ারি-জুন এবং জুলাই-ডিসেম্বর সেমিস্টারের টিউশন ফি এবং পরিবহণ ফি সম্পূর্ণ মওকুফ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এরপরও কোন শিক্ষার্থী যদি পরীক্ষার আগে সেমিস্টার বা ক্রেডিট ফি দিতে অপরাগ হয় তাহলে তা পরবর্তীতে পরিশোধ করতে পারবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের কোন জরিমানা গুনতে হবে না।
তিনি বলেন, অন্যান্য সময় আবাসিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আগে হল থেকে সব ফি পরিশোধের ছাড়পত্র এনে জমা দিতে হয়। এবার পরীক্ষায় বসতে হলের ছাড়পত্র লাগবে না। দীর্ঘ ছুটির পর আগামী জানুয়ারিতে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা আয়োজনের কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে পরীক্ষার তারিখ এখনও চুড়ান্ত হয়নি। এদিকে পরীক্ষা শুরুর আগে হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আবাসিক হল খোলার বিষয়ে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি হল খোলে দিতে। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা হল খুলতে পারছি না। তবে আমরা বিভাগগুলোকে সমস্যাগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি। ইতিমধ্যে অনেক বিভাগ শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা করেছে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৬৮ বার