আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার বাদী তার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস সাক্ষ্যে বলেছেন, টেকনাফের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নির্দেশে ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীর গুলিতে সিনহা নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে এ হত্যার বিস্তারিত বিবরণ জেনে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। সোমবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে বাদী ও প্রথম সাক্ষী সিনহার বড় বোন শারমিন শাহারিয়ার ফেরদৌসের সাক্ষ্য ও জেরা আংশিক শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) মামলার আসামি লিয়াকত আলী, প্রদীপ কুমার দাশ ও লিটন মিয়ার পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জেরা করবেন তাকে

জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বাদী শারমিনকে তিন আসামির পক্ষে অবশিষ্ট জেরা মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু করার আদেশ দিয়ে মামলার কার্যক্রম মুলতবী ঘোষণা করেন এবং দিনের অন্যান্য কার্যক্রমে চলে যান। মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী শারমিন তার সাক্ষ্যে আদালতে বলেন, ‘সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নির্দেশে বরখাস্ত হওয়া ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেন। ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনাস্থলে এসে গুলিবিদ্ধ সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।’

সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথমদিন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমদ, এপিপি ও আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমদ শারমিনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। প্রসিকিউশন পক্ষ বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ করার পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে একে একে জেরা করেন।

সাক্ষ্য গ্রহণকালে মামলার ১৫ জন আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। কড়া নিরাপত্তায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে তাদের সকালে আদালতে হাজির করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ২৪ ও ২৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রথম ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালত থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান পিপি ফরিদুল আলম। তিনি জানান, প্রতিদিন ৫ জন করে সাক্ষীর গ্রহণ করার কথা রয়েছে। চলতি বছরের গত ২৭ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল মামলার চার্জ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করে আদেশ দেন। এ মামলায় ৮৩ জন চার্জশিটভুক্ত সাক্ষী রয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn