ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে দুইবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বিজয়ী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে প্রায় সময়ই যে ধরনের বিতর্কের সৃষ্টি হয় তা সমাধানযোগ্য, এমন কোন বড় সমস্যা এখানে কখনই হয়নি। এছাড়া ছোট ফর্মেটে এখনও তিনি খেলতে আগ্রহী বলেই জানিয়েছেন। এক বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্মরণীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে ৩৩ বছর বয়সী স্যামি কোন ম্যাচ খেলেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়। একইসাথে তার বর্ণাঢ্য অধিনায়কত্বেরও অবসান হয়। তার অধীনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৭টি ম্যাচে ২৭টিতে জয়ী হয়। ৩০টিরও বেশী টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি ক্যারিবীয়দের নেতৃত্ব দিয়েছেন যা যেকোন দলের জন্য সর্বোচ্চ।

খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের সাথে বিতর্কের সময় স্যামি বাইরে থেকে ডুয়াইন ব্র্যাভো ও কিয়েরন পোলার্ডদের মত হাই প্রোফাইল সতীর্থদের নিয়ে চুপ থেকেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের নির্বাচন নীতিতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছির জাতীয় দলে আসতে হলে অবশ্যই খেলোয়াড়দের ক্যারিবীয়ান আঞ্চলিক টুর্নামেন্টগুলো খেলতে হবে। কিন্তু ডব্লিউআইসিসি কেন্দ্রী চুক্তির পরোয়া না করে বেশীরভাগ খেলোয়াড়ই লোভনীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোতে খেলতে আগ্রহী হয়ে পড়ে। এ কারনে ক্যারিবীয় বোর্ড বাধ্য হয়ে মূল খেলোয়াড়দের বাইরে রেখে দল গঠন করে। ধীরে ধীরে টেস্ট ও ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮ ও ৯ নম্বরে অবনমনেও সময় লাগেনি। ৫০ ওভারের ফর্মেটে নীচের দিকে থাকায় জুনে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার যোগ্যতাও হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এমনকি ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার জন্য তাদের লড়াই করতে হচ্ছে।

তবে সবকিছুর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বোর্ডে নতুন কিছু নিয়োগ ক্যারিবীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করে তুলেছে। সাম্প্রতীক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার ক্রিকেট এসোসিয়েসনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত থাকা চনি গ্রেভকে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সাবেক জনপ্রিয় ব্যাটসম্যান জিমি এ্যাডামসকে ক্রিকেট পরিচালকের পদে রাখা হয়েছে। জাতীয় কোচ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক টেস্ট ব্যাটসম্যান স্টুয়ার্ট ল’কে নিয়োগে দেয়া হয়েছে। স্যামি জানিয়েছেন এ্যাডামসের সাথে তার ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। এ সম্পর্কে স্যামি বলেন, তার সাথে আলোচনা করে বেশ কিছু ইতিবাচক বিষয় আমি জানতে পেরেছি। মূলত সবাই এখন সঠিক পথেই যেতে চাচ্ছে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকের এটাই ভাবতে হবে ব্যক্তিগত বিষয় নয় ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটই সবার আগে অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।
২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের পরে স্যামি এ পর্যন্ত আর কোন ফর্মেটে ক্রিকেট খেলেননি। কিন্তু ডাক পেলে তিনি আবারো জাতীয় দলে ফিরতে প্রস্তুত বলেই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আমি শুধুমাত্র টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিল। সীমিত ওভারের ম্যাচে এখনো আমি খেলতে চাই। আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের জন্য আমি প্রস্তুত আছি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn