করোনার প্রভাব-এসএসসি-এইচএসসির অনিশ্চয়তা দীর্ঘ হচ্ছে
ঢাকা বোর্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে বিকল্প মূল্যায়নের জন্য বলা হয়নি। মৌখিকভাবে বলা হয়েছে, পরীক্ষার প্রস্তুতির পাশাপাশি বিকল্প কী হতে পারে তা দেখতে। কিন্তু এ নিয়ে এখনো কোনো সভা হয়নি। তবে বিকল্প নিয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কারও কারও বিভিন্ন মত আছে। এর মধ্যে দুই পরীক্ষাতেই অ্যাসাইনমেন্টের ওপর বেশি জোর দেওয়া, যেটি শুরু হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলকে বিবেচনা করার ভাবনাও আছে। এইচএসসির ক্ষেত্রে জেএসসি ও এসএসসির গড় ফলকে ভিত্তি করে মূল্যায়নের আলোচনাও আছে। আবারও কেউ কেউ মূল কয়েকটি বিষয়ের ওপর সংক্ষিপ্ত সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার জন্যও বলছেন। তবে এগুলো একেবারেই ব্যক্তিগত পর্যায়ের প্রাথমিক চিন্তা। যদি অপরিহার্য হয়ে পড়ে, তখন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে বিকল্প ঠিক করা হবে।
আবার কারও কারও ভাবনা হলো, প্রয়োজনে এক বছর অপেক্ষা করা। তবে সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স, উচ্চশিক্ষায় ভর্তিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এক বছর বাড়িয়ে দেওয়ার কথাও বলছেন তাঁরা। এই পক্ষের মত হলো, পরীক্ষা ছাড়া পাস করানো হলে শিক্ষার্থীদের ওপর সামাজিক প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে চাকরিতেও সমস্যা হতে পারে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বড় অসুবিধা হলো, গত ১৫ মাসে তাদের শ্রেণিকক্ষে কোনো ক্লাস হয়নি। ওই দুই পরীক্ষা নিয়ে অবস্থান জানতে চাইলে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠনের প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখনো সিদ্ধান্ত হলো, সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা নেওয়া। এ জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। এরপরও যদি করোনা পরিস্থিতি একেবারে ভয়াবহ খারাপ হয়, তখন তো বিকল্প চিন্তা করতেই হবে।’