কলকাতার হাসপাতালে কমছে বাংলাদেশি রোগী
হাসপাতালে ভর্তিসহ নানা ধরনের জটিল প্রক্রিয়ার কারণে গত কয়েক মাস ধরে কলকাতার শীর্ষ ছয় বেসরকারি হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ১৮ আগস্ট শুক্রবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে উঠে আসে এমন তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক বছরে কলকাতার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা বাংলাদেশি রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস থেকে এই সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। ঢাকুরিয়া, মুকুন্দপুর ও সল্টলেকে আমরি হাসপাতালের তিনটি শাখায় প্রতি মাসে প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে যেতেন। চলতি বছরের মার্চ থেকে এই সংখ্যা ১৫ শতাংশ কমে গেছে।
এতে বলা হয়, চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া রোগীদের অবহেলা ও অতিরিক্ত বিলের কারণেই বাংলাদেশি রোগীদের সংখ্যা গত কয়েক মাসে কমে গেছে বলে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে। আমরি হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী রূপক বড়ুয়া বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারি থেকে কলকাতার হাসপাতালগুলো সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণাই এর জন্য দায়ী। বাংলাদেশের রোগীরা হয়তো এখন কলকাতা ছেড়ে দিল্লি বা দক্ষিণের প্রদেশগুলোর দিকে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্যসেবা-ব্যবস্থা বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। রোগীদের এই বিশ্বাস একবার ভেঙে গেলে তা ফিরিয়ে আনা খুব কঠিন।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, রুবি জেনারেল হাসপাতালে গত মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বহির্বিভাগে ও ভর্তি হওয়া বাংলাদেশি রোগী সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। এই হাসপাতালে মাসে ৪৫০ জন বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসাসেবা নিতেন। এই সংখ্যা কমে গত জুনে ২০-এ নেমে এসেছে। দক্ষিণ কলকাতার দুটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রতি মাসে প্রায় ৭০০ বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসতেন। গত পাঁচ মাসে তা পাঁচ শতাংশ কমে এসেছে। অ্যাপোলো হাসপাতালে প্রতি মাসে সাড়ে ছয় হাজার রোগী এলেও তা কমে গেছে। এছাড়া কলকাতার আরএন ঠাকুর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেসের (আরটিআইআইসিএস) রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।