কলমে মাটি কাটে—
ইন্ডিপেন্ডেট টিভি’র ‘তালাশ’ নামে ডকুমেন্টারী দেখার সৌভাগ্য হলো। প্রতিবেদনটি ছিল সুনামগঞ্জের হাওড়ের দুর্নীতি নিয়ে । ‘কলমে মাটি কাটে ‘ নাম ব্যবহার করে প্রথমেই যেন প্রতিবেদনটির মধ্যে একটা সন্দেহের বীজ ডুকিয়ে দেয়া হয়েছে। হাওরে’র দুর্নীতি নিয়ে প্রথম থেকে যারা সোচ্চার তাদের কোন বক্তব্য না নেওয়ার মধ্যেও রহস্যের গন্ধ পাওয়া যায়। আন্দোলনকারীদের নেতা একজন বলেন, টিভি’র প্রতিবেদক ৬ দিন সুনামগঞ্জে উপস্থিত থাকলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন মনে করেননি। টিভির স্থানীয় প্রতিনিধি পুর্ব থেকে যোগাযোগ রাখলেও কোন এক রহস্যজনক কারনে তিনি বা অন্যরা পরে আর যোগাযোগ করেননি। চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের আশীর্বাদপুষ্ট একটি মহল প্রথম থেকেই প্রতিবেদনকে অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য তৎপর ছিল। প্রতিবেদন প্রকাশের পর তার কিছুটা প্রতিফলনও পাওয়া যায়।
‘কলমে মাটি কাটে’ একজন ঠিকাদারের শিখানো কথা দিয়ে শিরোনাম করার মধ্যেই তার গন্ধ পাওয়া যায় । প্রতিবেদন তৈরীর শুরু থেকেই যেন এক পক্ষকে বাঁচানো ও আরেক পক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’কলমে’র’ ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করা মানে কর্মকর্তাদের কারনেই দুর্যোগ এ কথাটাকে হাইলাইট করার চেষ্টা করা হয়েছে । একই সাথে ঠিকাদার ও পিআইসিদের অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে বলে মনে হয়। তালাশে’র এই প্রতিবেদনকে ঘিরে সম্প্রতি ফেসবুকে বিভিন্ন মন্তব্য দেখে এখন মনে হচ্ছে বাঁধ নির্মাণের সরকারের কোটিকোটি টাকা মনে হয় জনৈক সাংবাদিকের পকেটে গেছে।এতো দিন শুনতাম কাকে কাকের মাংস খায়না। এই প্রবাদ মিথ্যা প্রমানিত হয়ে গেছে মনে হয়। একদল তথাকথিত সাংবাদিকরাই সাংবাদিকদের গোষ্টী উদ্ধারে লেগেছেন। এতে তাদের ভাবমূর্তি কতটুকু উজ্জল হচ্ছে তাদেরই ভাবা উচিত। নাকি তারা কৌশলে আসল কাহীনি অন্য খাতে প্রবাহিত করতে দূর্ণীবাজদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন?-মহী জামান