কাদেরের চিঠি
পবিত্র রমজান ও ঈদ উৎসবের কারণে এ কার্যক্রমে কিছুটা ভাটা পড়েছে বলে মনে করেন তৃণমূলের অধিকাংশ নেতা। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই বলছেন, সংগ্রহ করা অনেক জেলার কার্যালয়ে ফরমটি পড়ে আছে। কেন্দ্রের কাছে এমন তথ্যও আছে। ফলে দলের সাধারণ সম্পাদক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার তাগাদা দিয়েছেন। গত ৩ জুলাই, সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সারাদেশের সাংগঠনিক জেলায় এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, যেসব সাংগঠনিক জেলা/মহানগর/উপজেলা/থানা/পৌর শাখা ফরম সংগ্রহ করেনি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে তা সংগ্রহ করে নিজ নিজ এলাকায় সদস্যপদ সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি জোরদার করার।
আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত একই চিঠিতে আওয়ামী লীগের যে সকল জেলা/উপজেলা/পৌরসভা শাখায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের স্থায়ী/অস্থায়ী ঠিকানা নেই এবং যে সকল জেলা/উপজেলা/পৌরসভা শাখায় নিজস্ব কার্যালয় নির্মাণ হয়নি তাদের তথ্য অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা) পাঠাতে বলা হয়েছে।
দলের দফতর সূত্রে আরও জানা গেছে, সারাদেশের সাংগঠনিক জেলা বা তাদের অধীনস্থ শাখা-তো দূরে থাক এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণের পক্ষ থেকেও সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন ফরম গ্রহণ করা হয়নি। সার্বিক কার্যক্রমের ধীরগতি দেখে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এ কারণে সাংগঠনিক সকল জেলা এবং তাদের অন্তর্গত বিভিন্ন শাখায় চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে দ্রুত কার্যক্রম শুরু ও শেষ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চিঠি পাওয়ার পর অনেক জেলা থেকে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন ফরম সংগ্রহ করতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসছেন। আওয়ামী লীগের অপর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমে কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। এ কারণে সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সাংগঠনিক জেলায় চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। চিঠির পর এ কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।