ছাত্রলীগের সভাপতি কে এই শোভন-

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের প্রায় দুই মাস পর ঘোষিত হলো নতুন কমিটি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর অর্পিত ক্ষমতা বলে আগামী ২ বছরের জন্য আজ মঙ্গলবার রাতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি অনুমোদন করেছেন তিনি।  সভানেত্রীর পক্ষে কমিটি ঘোষণা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন, মো. রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন গোলাম রাব্বানী।  কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবারের সন্তান শোভন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মেধাবী ছাত্র। তিনি আইন বিভাগ থেকে সদ্য মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। সদ্য বিদায়ী ছাত্রলীগের কমিটির কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন।

শোভনের দাদা মরহুম শামসুল হক চৌধুরী বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক (৬নং সেক্টর এর প্রচার বিভাগের চেয়ারম্যান), কুড়িগ্রাম-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ১৯৭৩ ও ১৯৭৯। ১৯৭৫ পরবর্তী ১৯৭৭ সালে দেশ ও দলের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে জাতীয় নির্বাচন করেন।  শোভনের বাবা, যিনি ১৯৮১ সালে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা শাখা ছাত্রলীগ এর সভাপতি ও ১৯৯১ সালে থানা যুবলীগ এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন । ২০০১ সালে থানা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক (২০০১-২০১০) ও ২০১১ সালে পুনঃরায় থানা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক (২০১১-অদ্যাবদি)। এর পাশাপাশি তিনি নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কে এই রাব্বানী

 
  সম্মেলনের দীর্ঘ আড়াই মাস পর ঘোষিত ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে শীর্ষ পদে আসা নেতাদের নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের পর এবার সারাদেশের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জিজ্ঞাসা নতুন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া কে এই গোলাম রাব্বানী? গোলাম রাব্বানীর বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। তিনি সদ্য বিদায়ী সাইফুর রহমান সোহাগ-এসএম জাকির হোসাইনের কমিটির শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। আর তার আগে এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ-সিদ্দিকী নাজমুল আলমের কমিটিতে উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক ছিলেন রাব্বানী। গোলাম রাব্বানী পারিবারিকভাবে আওয়ামী পরিবারের সন্তান। গোলাম রাব্বানীর মা মরহুমা তাছলিমা বেগম ছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও স্থানীয় ইশিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম সামশুল হক মুন্সীর বড় মেয়ে। মরহুম সামশুল হক মুন্সী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর এবং শেখ পরিবারের একজন অন্যতম সুহৃদ। মাদারীপুর অঞ্চলে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় সামশুল হক মুন্সীর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। গোলাম রাব্বানীর মা তাছলিমা বেগম ছিলেন রাজৈর কলেজ ছাত্রলীগের সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক (১৯৮৩-১৯৯১)। তিনি নব্বয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও এ এলাকায় ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। গোলাম রাব্বানীর মা তাছলিমা বেগম গত ১৯ জুলাই আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন। ছেলের বর্তমান অবস্থানটা তিনি দেখে যেতে পারলেন না। অপরদিকে গোলাম রাব্বানীর বাবা এম এ রশিদ আজাদ ভূমি মন্ত্রালয়ের অধীনে কারিগরি কর্মকর্তা হিসেবে বর্তমানে ফরিদপুরে কর্মরত রয়েছেন। এর আগে তিনি রাজৈর কেজেএস হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। গোলাম রাব্বানীর একমাত্র ছোট ভাই গোলাম রুহানী (সবুজ) ৩৫তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডার মনোনীত হয়েছেন। এর আগে তিনি ৩৪তম বিসিএসে আনসার ক্যাডার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। পিতার চাকরির সুবাধে গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ীতে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে ভর্তি হন ঢাকার উত্তরা রাজউক মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে। সেখান থেকে এসএসসি ও এইচএসসিতে এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন। উত্তরা রাজউক মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনাকালে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ২০০৭/২০০৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn