শাহনেওয়াজ বাবলু-
প্রায় দুই মাস হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ১৯শে জুন বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর থেকে নিজ বাসা ফিরোজায় ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। হাসপাতাল থেকে ফেরার সময় বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা যেমন ছিল এখনো তেমনই রয়েছে। অর্থাৎ তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বর্তমানে তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হার্ট, কিডনি ও লিভারের সমস্যা আগের মতোই আছে। চিকিৎসকরা নিয়মিত তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর রাখছেন। মাঝে মাঝে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা ভার্চ্যুয়ালি খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করেন এবং অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসা করেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় অক্সিজেন সাপোর্টসহ মোটামুটি প্রাথমিকভাবে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
কারণ, প্রায় প্রতিদিনই তার কোনো না কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হচ্ছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অন্যতম সদস্য ও বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন মানবজমিনকে বলেন, সর্বশেষ হাসপাতাল থেকে বাসায় আনার সময় ম্যাডামের যে অবস্থা ছিল এখন সেই অবস্থা আছে। এই মহামারির সময় তিনি সব বিষয়ে সতর্ক থাকছেন। ডাক্তাররা নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
এদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে সরকারের কাছে আবেদন করে পরিবার। দলের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর দুইদিন পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার ধানমণ্ডির বাসায় দেখা করেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার। যদিও চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে অনুমতি দেয়নি সরকার। এদিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। তবে এখন পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হবে না বলে মানবজমিনকে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সরকারে কাছে আমরা আপাতত আবেদন করছি না। চিকিৎসকদের বাইরে খালেদা জিয়াকে দেখতে তার বাসভবন ফিরোজায় মাঝেমধ্যে যান ভাই শামীম এস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা।
এদিকে গত রোববার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে সরকার আইনি ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। এই কথাটা আমরা এর আগেও বলেছি। আমাদের আইনজীবীরাও এর উত্তর দিয়েছেন। সরকার যে আইনের ক্ষমতাবলে এই নির্দেশ (খালেদা জিয়া সাজা স্থগিত করে মুক্তি) দিয়েছেন, সেই আইনে তারা নতুন নির্দেশ দিয়ে তার (খালেদা জিয়া) বিদেশের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেন। তারা আসলে নিজেরাই নিজেদের ক্ষমতা খর্ব করছেন। এটার একমাত্র উদ্দেশ্য খালেদা জিয়ার সঙ্গে একটা বৈরী মনোভাব প্রদর্শন করা।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৯৪ বার