কোনোভাবেই ঠেকানো গেল না স্কুলছাত্রী বাল্যবিয়ে
উপজেলা প্রশাসনের বার বার হস্তক্ষেপের পরও কোনো ভাবেই ঠেকানো গেল না স্কুলছাত্রী বৈশাখীর বিয়ে। শুক্রবার বিকেলে কনের পিতার বাড়ি মেহেরুর গাংনী উপজেলার চরগোয়ালগ্রামে ধুমধাম করেই বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বৈশাখী ওই গ্রামের গরিবুল্লাহর মেয়ে ও আরবিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। জানা গেছে, বৈশাখীর সাথে একই গ্রামের মোসা মোল্লার ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফারুক হোসেনের বিয়ে ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার রাতে বর কয়েকজনকে নিয়ে কনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে গাংনী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিয়ে বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হলে সটকে পড়েন বরসহ তার লোকজন।
কিন্তু বর ও কনের পরিবারের অপতৎপরতা বন্ধ হয়নি। শুক্রবার বিয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়। সকাল থেকেই কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলতে থাকে। স্থানীয় কয়েকজন এ বিয়ে বন্ধের জন্য সাংবাদিক ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে ফোন দেন। সাংবাদিকগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার কাজীকে নিষেধ করা হয়। কাজি নিজে না গিয়ে স্থানীয় মৌলভী ও নিকাহ রেজিস্ট্রারের সহকারী উমর আলী বিয়ে পড়িয়েছেন। তবে সাথে সাথেই নথী গোপন করেন। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান বলেন, বাল্যবিবাহ হওয়াটা দুঃখজনক। ওই বিয়ের সঙ্গে জড়িত কাজিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।