গড্ডালিকায় গা ভাসাতে চাই না: সুজানা
শামছুল হক রাসেল ::
বিজ্ঞাপন ও নাটকে যে ধরনের বডি ফিটনেস প্রয়োজন তার সবটাই রয়েছে। রয়েছে গ্লামারাস লুক। এছাড়া হাসি ও চাহনিতে রয়েছে দর্শক হৃদয়ে গেঁথে থাকার মন্ত্র। বলছি সুজানার কথা। প্রায় ১৫ বছর মিডিয়ায় বিচরণ তার। কিন্তু কেউ কেউ অভিযোগ করেন নিজের নামের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি এই লাস্যময়ী। অন্যান্য তারকাদের তুলনায় তার কাজের সংখ্যা নাকি তুলনামূলক কম। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুজানা বলেন, মিডিয়ায় বর্তমানে যে ট্রেন্ড চলছে সেই গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাতে চাই না। বরাবরের মতো নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে চলতে চাই। মুখের কথা শেষ না হতেই ফের প্রশ্ন ছুড়লাম- কোন ট্রেন্ড-এর কথা বলছেন? এবার কিছুক্ষণ চুপ থেকে সুজানা বললেন, অনেক কিছু বলতে চাইলেও বলা যায় না। কারণ ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে অনেকেই আমাকে ভুল বুঝতে পারে।সুতরাং এর চেয়ে বেশি আর বলতে চাই না। শুধু একটি কথা বলতে চাই গতানুগতিক ট্রেন্ডে আমি অভ্যস্ত না।
বর্তমান ব্যস্ততা সম্পর্কে জানতে চাইলে সুজানা বলেন, সম্প্রতি ইতালি থেকে ফিরলাম। সেখানে সময়টা বেশ ভালোই কেটেছে। ইতালি থেকে সুইজারল্যান্ড এবং প্যারিসেও গিয়েছিলাম। সেখান থেকে প্রত্যাবর্তনের পরের দিন সকালেই শুভ ভাইয়ের ‘লাইফ ইন মেট্রোতে’ যোগ দেই। কারণ এই ধারাবাহিকের জন্য আগেই সময় দেয়া ছিল। এই নাটকটিতে আমার চরিত্রের নাম মিতু। কিছুটা বোকা চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়েছে আমাকে। শুনলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়াও গিয়েছিলেন। এবার সুজানা বলেন, সেখানে একটি এতিমখানা রয়েছে। কোরবানি করা কিছু গোস্ত সংরক্ষণ করা ছিল। যেহেতু সেই সময় যেতে পারিনি, তাই দেশে ফিরে সেখানে একটা দিন কাটিয়েছি। এছাড়া বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে তিনি বলেন, আজ একটি আন্তর্জাতিক ফ্যাশন হাউসের ফটোশুট রয়েছে। সেটা নিয়ে এখন ব্যস্ত আছি। আপাতত কিছুটা রিল্যাক্স মুডেই সময় কাটাচ্ছি। সুজানা আরও বলেন, আরেকটি কথা না বললেই নয়, আমি কিন্তু সংখ্যা না কাজের মানকেই প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করি। জানি অনেকেই একথায় নাক ছিটকাতে পারেন। তারপরও বলছি, সত্যি সত্যিই সংখ্যাকে প্রাধান্য দেই না। এজন্য হয়তো আমার কাজের পরিমাণ চোখে পড়ে না।