গ্রীক দেবীর মূর্তি হাইকোর্টের সামনে কেন থাকবে? প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
কওমি সনদের জন্য আয়োজিত ওলামা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন গ্রীক দেবির মূর্তি আমি নিজেও পছন্দ করিনা।কারা এটা বসিয়েছে আমি জানি না।গ্রীক দেবীর মূর্তি হাইকোর্টের সামনে কেন থাকবে? প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন গ্রীক দেবি তো শাড়ি পড়ত না।আমাদের দেশের সাথে এই মূর্তির কোন সম্পর্ক নেই।তিনি ওলাসর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে এই ভাস্কর্য স্থাপনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটাকে আবার শাড়ি পরানো হয়েছে। এর কী মানে!
এটা নিয়ে মাঠ গরম না করতে আলেমদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেহেতু একটা জিনিস হয়ে গেছে আপনারা ধৈর্য ধরেন, আমরা এটা সরানোর ব্যবস্থা করবো।মাদের আশ্বস্ত করে বলেন আমি প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দিয়েছি এটা সরানোর জন্য।আপনার ধর্য ধরুন। এর আগে আলেমদের প্রতিনিধি যারা বক্তব্য দেন সবাই আদালত প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য সরানোর দাবি জানান। তারা বলেন, এটা আমাদের বাংলাদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না। গত ডিসেম্বরে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে একটি দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টে মূলভবনের সামনে ফোয়ারার মধ্যে এটি স্থাপন করা হয়। ভাস্কর্যটি নির্মাণ করছেন ভাস্কর মৃণাল হক। সম্মলনে তিনি কওমি মাদ্রসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্য রেখে কওমি মাদ্রাসাকে এম,এর সমান মর্যাদার ঘোষনা দেন।তিনি বলেন, আজ কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ ক্লাস দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের মান দেওয়া হলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ গণভবন ধন্য হয়েছে। আজ বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমরা এখানে এসেছেন।আমাদের শিক্ষার সূচনাতেই আছে কওমি মাদরাসা। এখান থেকেই তো আমাদের শিক্ষার সূচনা। বাংলাদেশে ১৪ হাজার কওমি মাদরাসা আছে। ১৪ লাখ ছাত্র রয়েছে। দীনি এলেম হলো মৌলিক শিক্ষা। এ শিক্ষা না থাকলে শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না। তিনি বলেন, আমরা একটি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। যাতে এর মাধ্যমে কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি হতে পারে। অনেক সমস্যাই এখন থাকতে পারে এখানে। কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা এগুলো আলোচনা করে দূর করবো।