গড়ে উঠেছে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে লোক সাপ্লাই চক্র
রাজনৈতিক দল বা সামাজিক সংগঠনের যে কোনো অনুষ্ঠানে বেশি লোকের সমাবেশ দেখাতে ঘণ্টা ভিত্তিতে লোক ভাড়া করেন নাম সর্বস্ব সংগঠনের নেতারা। এ সুযোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি লোক সাপ্লাই চক্র। প্রতি অনুষ্ঠানের জন্য জনপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা চুক্তি হলেও কর্মীরা পায় কেবল ৬০ টাকা। সরকারি দল বা বিরোধী দল, সরকারি দল সমর্থক বা বিরোধী দল সমর্থক সংগঠন যাই হোক, টাকার বিনিময়ে অনুষ্ঠান সফল করাই তাদের কাজ। কী দাবিতে দাঁড়িয়ে আছেন? কিংবা কারা এর আয়োজক? এমন প্রশ্নের উত্তর জানেন না, এদের অনেকেই। কাজ কেবল দাঁড়িয়ে থাকা। ঘণ্টা দু’য়েক দাঁড়াতে পারলেই দায়িত্ব সারা! অনুষ্ঠান শেষ, এবার পারিশ্রমিক নেয়ার পালা। তবে চক্রের নেতা জনপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা চুক্তি করলেও, কর্মীদের দেন ৬০ টাকা করে। অনুষ্ঠানে খাবারের ব্যবস্থা থাকলে, সেটি বোনাস! অনেকে আবার সেমিনারে অংশ নিয়ে পাওয়া খাবার বিক্রি করে দেন। খাবারের প্যাকেট বিক্রি করে পায় ৭০ টাকা। আর পানির বোতল ও কোমল পানীয় বিক্রি করে ৩৫ টাকা। এভাবে উপার্জন, অনেকের রীতিমতো পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সারাদিনে এমন ৩-৪টি অনুষ্ঠানে ডাক পেলে অনায়াসেই ৩ থেকে সাড়ে তিনশ’ টাকা আয় হয়। যা মাসে যা দাঁড়ায় ৭-৮ হাজার টাকা। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আব্দুল মান্নান জানান, রাজনৈতিক-সামাজিক অনুষ্ঠানে লোক আনার বিষয়টি নতুন নয়। তবে কর্মী সংকটে যারা ভাড়া করা লোক দিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন, তাদের তীব্র সমালোচনা করলেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক। এছাড়া অবৈধ সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোকে সচেতন হবার পরামর্শও দিলেন তিনি।