দীর্ঘ দেড় যুগের পরকীয়ার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চাচার দুই সন্তানসহ স্কুলশিক্ষক চাচি রহিমা আক্তার রুমাকে বিয়ে করলেন শরীফুল ইসলাম নামে টাঙ্গাইলের এক যুবক। সম্প্রতি সখিপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালিদাস পানাউল্লাহপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিজের স্ত্রী সন্তান থাকতেও চাচার কাছ থেকে চাচিকে ভাগিয়ে নিয়ে দুই সন্তানসহ বিয়ে করায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে কালিদাস পানাউল্লাহপাড়ার ইমান আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় নলুয়া মোল্লাপাড়ার রহিমা আক্তার রুমার। বিয়ের কয়েক বছর পরই ভাসুরের ছেলে শরিফুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন রহিমা। এরপর থেকেই স্বামী ইমান আলীর সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে বিষয়টি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। শরিফকে পরকীয়া থেকে ফেরাতে ২০১৭ সালে বাসাইল উপজেলার ময়থা গ্রামে বিয়ে করায় তার পরিবার। তবে এতেও শরীফ-রহিমার সম্পর্কের অবনতি হয়নি। ২০১৯ রহিমাকে দিয়ে চাচা ইমান আলীকে ডিভোর্স করান শরীফুল। অবশেষে দুই পরিবারের সমঝোতায় গত সপ্তাহে বিয়ে হয় শরীফুল ইসলাম ও রহিমা আক্তার রুমার। এর মধ্য দিয়ে তাদের দেড় যুগের পরকীয়ার অবসান ঘটল।
মঙ্গলবার মোবাইলে বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন রহিমা ও তার ভাই আনোয়ার মোল্লা। বহুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিম বলেন, উভয় পরিবারের সমঝোতার মাধ্যমে শরিফুল ও রহিমার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ের বিষয়টি শরিফের বর্তমান স্ত্রীও মেনে নিয়েছেন। ডেইলি বাংলাদেশ
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১২৮ বার