বার্তা ডেক্সঃঃচলতি আমন মৌসুমে সরকারের নির্ধারিত আমন ধানের চালের দাম প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৩৭ টাকা থেকে ৪২ টাকা ৫০ পয়সা করার দাবি জানিয়েছেন সিলেট বিভাগীয় রাইস মিল মালিক সমিতি। শনিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জ শহরের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক সুনামকণ্ঠের কনফারেন্স হলে সিলেট বিভাগীয় রাইস মিল মালিক সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় নেতৃবৃন্দরা এমন দাবি জানান। সভায় নেতৃবৃন্দরা বলেন, আমন ধানের চাল সংগ্রহে সরকার ২৬ টাকা করে ধান সংগ্রহ করার কথা জানালেও মিল মালিকদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা ধরে আতপ ও সিদ্ধ ৩৭ টাকা করে সরকারের কাছে দেওয়ার কথা জানালেও, আমরা সেই দামে বিক্রি করতে পারবো না। কারণ আমাদের ২৬ টাকা ধরে ধান সংগ্রহ করে এবং চাল উৎপাদন খরচ ১ টাকা ৪১ পয়সা দাঁড়ালে আমরা প্রতি কেজি চালের দাম ৪২ টাকা ৬২ পয়সা করে নির্ধারণ করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই।
সিলেট বিভাগীয় রাইস মিল মালিক সমিতি’র সভাপতি শংকর পালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাব্বির আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় বক্তব্য দেন, সিলেট বিভাগীয় রাইস মিল মালিক সমিতি’র সহ-সভাপতি সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহানুর রশিদ, অর্থ সম্পাদক আসাদুজ্জামান চৌধুরী, সদস্য আবুল আজিজ নানু, বোরহান উদ্দিন, সুনামগঞ্জ জেলা রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি জিয়াউল হক, সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, কোষাধ্যক্ষ আবুল ওয়াহিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় বিভাগীয় চাল মিল মালিক সমিতি’র সভাপতি শংকর পাল সাংবাদিকদের জানান, সরকার বর্তমানে আমন চাল সংগ্রহের জন্য মিল মালিকদের সাথে ২৬ নভেম্বরের মধ্যে চুক্তি করার সময় বেঁধে দিয়েছে। যেহেতু অগ্রহায়ণ মাসের শুরু হয়েছে এবং আমাদের সিলেট অঞ্চলে গ্রামের কৃষক ভাইয়েরা অগ্রহায়ণ মাসের ১৫ দিন পর ধান কাটা শুরু করেন সেজন্য আমরা চুক্তির সময়সীমা আরও ১৫দিন বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাই। তিনি আরও বলেন, সিলেট বিভাগে বন্যা ও করোনাকালে আমাদের সিলেটের অনেক মিল মালিক সরকারের বোরো চাল সংগ্রহ অভিযানে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। সেজন্য আমরা অনতিবিলম্বে মিল মালিকদের বকেয়া জমানত ও চাল ক্রয়ের জমানতের টাকা প্রদান করার জন্য আবেদন জানাই। এছাড়া আমরা মিল মালিকরা অনেক সময় প্রশাসনিক হয়রানীর শিকার হয় আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদের মিল মালিকদের প্রশাসনিকভাবে হয়রানী না করা হয় সেজন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৬৭ বার