ছাতকের শামীমসহ পাচঁ ভাইয়ের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল
ছাতক :: ছাতকের সুরমা নদীতে অবৈধ চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক ছাতক পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী ও তার আপন ছোট ভাই জেলা আ.লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও ১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচ জনের আগ্নেয়াস্ত্র’র লাইসেন্স বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনবনতির হুমকি ও রক্তক্ষতি সংঘর্ষ আশঙ্কা বিদ্যমান থাকায় পুলিশের বিশেষ বিভাগের রিপোর্টের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ শনিবার পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেন। লাইসেন্স বাতিল করা সংক্রান্ত নোটিশ শনিবার জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটের নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হয়েছে। যাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় পুলিশের ওপর হামলা, হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
যাদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন, শাহীন আহমেদ চৌধুরী (ডিবিবিএল বন্দুক), জামাল আহমেদ চৌধুরী (এসবিবিএল বন্দুক, পর্তগালের তৈরি), শামীম আহমেদ চৌধুরী (শর্টগান), কামাল চৌধুরী (শর্টগান) ও আহমেদ শাখাওয়াত চৌধুরী সেলিম (শর্টগান, তুর্কির তৈরি) । তারা পাঁচ ভাই ছাতক পৌর শহরের বাগবাড়ি এলাকার আরজ মিয়া চৌধুরী পুত্র। তারা সবাই স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে তাদের আরেক ভাই ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়নি। গত ১৪ মার্চ সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীতে অবৈধ চাঁদা আদায় ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক পৌর আবুল কালাম চৌধুরী ও তার ছোট ভাই জেলা আ.লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরীর সমর্থকদের সংঘর্ষে শাহাব উদ্দিন নামের এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নিহত ও ছাতক থানার ওসিসহ শতাধিক আহত হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষই প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। এ ঘটনায় ছাতক থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।