ছাতকে কিশোরী অপহরণ,মামলা নিতে পুলিশের গড়িমসি
ছাতক :: ছাতকে নিজের বসতঘর থেকে ফিল্মিস্টাইলে এক কিশোরীকে অপহরণ করেছে অপহরণকারীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের করছখালী গ্রামে। অপহরণের দুই দিন পর পারিবারিকভাবে কিশোরীকে উদ্ধার করা হলেও অপহরণকারীদের ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছে না এতিম কিশোরীও তা মা। ঘটনার ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও ছাতক থানায় এই মাসে মামলা বেশি হওয়ায় পরের মাসে অভিযোগটি আমলে নেওয়া হবে জানানো হয় ভূক্তভোগীর পরিবারকে। ফলে অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী (১৬) ও তার মা জোসনা বেগম। জানা যায়, গত ২০-সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ছাতকের কালারুকা কমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে নিজ ঘর থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে পালিয়ে যায় একই গ্রামের, আবু ছালেহ, আবু হাম্মাদ, আরকান আলী, আম্বুল মিয়া, পার্শ্ববর্তী নয়া লম্বাহাটি গ্রামের জুয়েল মিয়া, আছাদ মিয়া, আলী হোসেনসহ কয়েকজন যুবক। এসময় কিশোরীর চিৎকার শুনে পাশের রুম থেকে তার মা জোসনা বেগম এগিয়ে আসলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার দুই দিন পর অনেক খোঁজাখুঁজির পর অপহরণকারীর আত্মীয় বাড়ি ছাতক সদর ইউনিয়নের আন্ধারীগাওঁ থেকে সুনামগঞ্জ যাওয়ার পথে তাকে উদ্ধার করা হয়।
এঘটনার পরদিন ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে এসআই লিটন দাশ জানান, স্যার (ওসি) বলেছেন এই মাসে থানায় মামলা অতিরিক্ত হওয়ায় অভিযোগ আমলে নেওয়া যাবে না। পরের মাসে মামলাটি এফআইআর করা হবে। অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া এসআই লিটনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে অভিযোগের কথা অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে অভিযোগের অনুলিপি প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য সদরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মেয়ের মা চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফাও প্রথমে অভিযোগের কথা অস্বীকার করে পরে তিনি ব্যাস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।