ছাতকে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রনহীন
ছাতকে রমজান মাসের শুরুতেই উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের কোনো নিয়ন্ত্রন নেই। ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। রমজান মাসের এক সপ্তাহ পূর্বে ৩০ টাকায় বিক্রিত কাঁচা মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০/৮০ টাকা কেজি। এছাড়াও ফরমালিন যুক্ত কলা, খেঁজুর, আম, আঙ্গুর, মাল্টাসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি হচ্ছে অবাধে। প্রতি কেজি পেয়াজ গত মাসে ছিল ১৮ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ২৪ টাকায়, ভোজ্য তৈল সয়াবিন ফ্রেস ১ লিটারের মূল্য ছিল ৯৫ টাকা বর্তমানে ১০৫ টাকা, চিনি ছিল ৬০ টাকা বর্তমানে ৭০/৭২ টাকা, ৭০ টাকার ছোলা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়, ৪২ টাকার মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, চায়না রসুন ছিল ২১০ টাকা বর্তমানে ২৯০/৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশী দাম বেড়েছে খেজুরের। যে খেজুর গত মাসে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায় সেই খেজুর এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। গত মাসের হিসাব অনুযায়ী এসব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখন লাগামহীন। দিনমজুর সফিক মিয়া বলেন- “বাজারও গেলেই আমরার চিন্তার শেষ নেই। আস্তা দিনের রোজগার শেষ অইজায় চাউল-ডাইল কিন্নাই, মাছ কিনার সামর্থ্য হয় না। বালা খানা তো আমরার স্বপ্নের ব্যাফার”। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাতক বাজারের একাধিক খুচরা ব্যবসায়ী জানান, আমরা বড় পাইকারী ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি। বড় মহাজনরা পন্যের দাম বাড়ালে আমাদের কিছুই করার নেই। ইতিমধ্যেই খাদ্য ব্যবসাায়ীদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য আইন বিষয়ক অবহিতকরন ও সচেতনতামুলক সভা অনুষ্ঠিত হলেও এর প্রভাব পরেনি বাজারে। ইউএনও মোহাম্মদ নাসির উল্লাহ খান বলেন- রমজানকে সামনে রেখে বাজারে মনিটরিং শুরু হয়েছে। ভেজাল খাবার বিক্রি প্রতিরোধে বিশেষ অভিযান শুরু হবে।