ছাতকে লুণ্ঠিত মালামালসহ ৩ ডাকাত গ্রেফতার
বিজয় রায়-
ছাতকে ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার একদিন পর লুণ্ঠিত মালামালসহ ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আরো দু’ডাকাত পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। রোববার রাতে পুলিশের অভিযানে পৃথক স্থান থেকে ডাকাতদের গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার রাতে শহরের নোয়ারাই এলাকার মিফতা আহমদের বাসায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে লুণ্ঠিত মালামালসহ ডাকাতদের গ্রেফতার করায় সাধারন মানুষের কাছে ছাতক থানা পুলিশ প্রশংসিত হয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা হল শহরের বাঁশখালা মহল্লার আব্দুল মমিনের পুত্র ডাকাত আব্দুর রহিম(২২), নোয়ারাই গ্রামের রশিদ আলীর পুত্র দুলাল(২১) ও নোয়ারাই গ্রামের মনফর আলীর পুত্র শাহীন(২২)। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, নোয়ারাই গ্রামের সোহাগ নামের জনৈক ব্যক্তি ডাকাত দুলালের কাছে পাওনা ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করতে পারছিল না। রোববার দোয়ারা উপজেলার বাংলাবাজার থেকে আকস্মিকভাবে বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে দুলাল ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করলে পাওনাদার সোহাগের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এলাকার চিহ্নিত অপরাধী দুলালের টাকা পরিশোধের বিষয়টি স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর লিয়াকত আলীকে অবহিত করে সোহাগ।
এ সংবাদ পুলিশকে জানালে দুলালকে গ্রেফতারের জন্য ওসি আতিকুর রহমান, ওসি(তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম ও ওসি(অপারেশন) কাজী গোলাম মোস্তাফার নেতৃত্বে এসআই সোহেল রানা, এসআই শফিকুল ইসলাম, এসআই অরূপ সাগর, এসআই রাজেন্দ্র কুমার দাস, এসআই পিংকু দেব, এএসআই রেজওয়ানুল হক ও এএসআই মহিউদ্দিন ৩টি দলে বিভক্ত হয়ে অভিযানে নামে। পৌর কাউন্সিলর লিয়াকত আলীর সহায়তায় দোয়ারা উপজেলার কুশিউরা গ্রামের তার শশুর বাড়ি থেকে দুলালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মাটির গর্তে রাখা একটি পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো কাপড়ের ব্যাগসহ লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। দুলালের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে শহরের নোয়ারাই এলাকা থেকে আব্দুর রহিম ও শাহীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় ডাকাতদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত টাকা, ৩টি মোবাইল সেট ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত রামদা, লোহার পাইপ, স্লাইরেঞ্চ ও দু’টি প্ল¬াস উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার গভির রাতে শহরের নোয়ারাই এলাকার বাসিন্দা হাজী মিফতা আহমদের বাসায় ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতরা নগদ ৬ লক্ষ টাকা, ২৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, কয়েকটি মোবাইল সেটসহ ২০ লক্ষাধিক টাকা মুল্যের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতদের ছরিকাঘাতে গৃহকর্তা মিফতা আহমদ আহত হন। এ ব্যাপারে শনিবার রাতে মিফতা আহমদ বাদী হয়ে ছাতক থানায় একটি মামলা(নং-১৪) দায়ের করেন। ওসি আতিকুর রহমান জানান, পুলিশের সাড়াশী অভিযানে ডাকাত দুলাল, আব্দুর রহিম ও শাহীনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে দুলালের শশুর বাড়ির গর্ত থেকে ১৪ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, মুল্যবান ইমিটেশন অলংকার, ভাগ-বাটোয়ারা করা নগদ ১লক্ষ ৫১ হাজার টাকা ও ৩টি মেবাইল সেট উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি দেশীয় উদ্ধার করা হয়। ডকাতিতে জড়িত অন্যাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।