ছাতক ইউএনও কার্যালয়ে ৩০ হতদরিদ্রের বিক্ষোভ
চান মিয়া-
ছাতকে তালিকায় নাম থাকার পর ১০টাকা কেজির চাল না পেয়ে নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে ৩০জন হতদরিদ্র উপকারভোগি। পরে আইনগত প্রতিকার চেয়ে উপজেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। জানা যায়, মঙ্গলবার কালারুকা ইউনিয়নের ডিলার জাহাঙ্গীর আলমের সাব-ডিলার উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মচারি আব্দুল আউয়াল ৭নং ওয়ার্ডের ৩০জন উপকারভোগিকে নানা অজুহাতে চাল না দিয়ে খালি হাতে ফেরত দেন। এতে হতদরিদ্র লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বোবরাপুর গ্রামের মৃত জাহির আলীর পুত্র গোলাম মোস্তফা, মৃত আইয়ূব আলীর পুত্র আখল আলী, মৃত মনোহর আলীর পুত্র ফয়েজ আলী, মৃত মখলিছ আলীর পুত্র নূর উদ্দন, মৃত আসলম আলীর পুত্র কাঁচা মিয়া, মৃত সাদক আলীর পুত্র ফয়ছল আহমদ, মৃত রাহিম আলীর পুত্র শুকুর আলীও আলা উদ্দিন, আঞ্জব আলী পুত্র আব্দুস শহীদ, আকলুছ আলীর স্ত্রী আফরোজুন নেছা, মৃত ইদ্রিছ আলীর পুত্র বসির আলী, মৃত আজর আলীর পুত্র করম আলী, মৃত সিদানীরাম দাসের পুত্র মো. ইসলাম খা, মৃত হারিছ আলীর পুত্র ছৈয়দুর রহমান, আরতানপুর গ্রামের আব্দুল মালিকের স্ত্রী চটকমালা, আলীম উদ্দিনের স্ত্রী সাহানারা বেগম, মৃত এরশাদ আলীর পুত্র আবুল কালাম, মৃত খলিছুর রহমানের স্ত্রী মিছিরা বেগম, মৃত হাসিম আলীর পুত্র ফজর আলী, মৃত মজমিল আলীর পুত্র আব্দুল মজিদ, মৃত ওয়াহাব আলীর পুত্র আব্দুল হাই আজাদ ও সিকন্দরপুর গ্রামের জহির মিয়ার পুত্র কছির মিয়া, মৃত রইছ আলীর পুত্র ফখর উদ্দিন, শুকুর আলীর পুত্র নূর আলমসহ ৩০জন উপকারভোগি চাল না পেয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, সাব-ডিলার আব্দুল আউয়াল ইউপির ৩, ৪, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড এবং ৬নং ওয়ার্ডের আংশিক এলাকায় তিনি চাল বিক্রির দায়িত্বে রয়েছেন। এরই ধারাবাহিতায় এসব এলাকায় অনেক ক্রেতা চাল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। কাগজে-পত্রে ডিলার হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের নাম থাকলেও ক্রেতারা আব্দুল আউয়ালের কাছ থেকেই চাল ক্রয় করছেন। এব্যাপারে আরতানপুর গ্রামের আব্দুল হাই আজাদ বঞ্চিতদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সাব-ডিলার আব্দুল আউয়াল বলেন, নতুন তালিকায় ৩০জনের নাম বাদ পড়েছে। শুক্রবার (৩১মার্চ) নতুন এই ৩০জনকে চাল দেয়া হবে। নাম রাখা এমনকি বাদ দেয়ার এখতিয়ার ডিলারের নয়, ইউনিয়ন পরিষদের। ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার কবির আহমদ বলেন, চাল বিক্রির ক্ষেত্রে ব্যাপক স্বজনপ্রীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি তালিকা মোতাবেক গরিবের হাতে চাল পৌছে দিতে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন বলে জানান। উপজেলা খাদ্য অফিসার শাহাব উদ্দিন জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লিখত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।