ছাতক এসি ল্যান্ড অফিসে শনির দশা যেন কাটছেই না!
ছাতকে এসিল্যান্ড অফিসের অভ্যন্তরে যেন শনির দশা কাটছেই না। সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি অফিস সহকারি থেকে পিয়ন পর্যন্ত ৮ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পত্রিকায় দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ তাদের বদলী করেছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে সর্বত্র ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। জানা যায়, এসিল্যান্ড অফিসের সহকারি সামছুদ্দোহা, সার্ভেয়ার পিকলু চৌধুরি, অজয় দাস, চেইনম্যান জয়নাল আবেদীন, ধানু মিয়া, জারিকারক নূর আলম, আলী আহমদ ও পিয়ন আরজদ মিয়াসহ ৮ জনকে দুর্নীতির অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সামছুদ্দোহা ও সার্ভেয়ার পিকলু চৌধুরী এসিল্যান্ড অফিসকে অনেকটাই ঘুষ-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছিলেন। জানা গেছে, অফিসটিতে সাড়ে ১১শ’ টাকার প্রতিটি নামজারির জন্যে তারা আদায় করতেন সর্বনিম্ন ৮ হাজার থেকে লাখ টাকার উপরে। অফিসে গিয়ে ভূক্তভোগী কয়েক শ’ লোকের অভিযোগ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, সামছুদ্দোহা কয়েক শ’ লোকের নামজারির টাকা নিয়ে অফিস থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ পান। এখনো তার কাছে শতাধিক লোকের টাকা পাওনা রয়েছে বলে জানা গেছে। একেকটি নামজারির তার কাছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন বলে জানান তারা।একইভাবে পিকলু চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগে তাকেও এখান থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এসিল্যান্ড অফিসে শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে কর্তৃপক্ষ ঘুষখোর কর্মকর্তা-কর্মচারিদের গণহারে প্রত্যাহার করেছেন বলে অফিসের একটি সূত্রে জানা গেছে।
পত্রিকার সংবাদ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তাৎক্ষনিকভাবে অভিযুক্ত অফিস সহকারি সামছুদ্দোহাকে শাল্লা উপজেলায় স্ট্যান্ড রিলিজ ও পরে তার অপকর্মের প্রধান সহযোগী সার্ভেয়ার পিকলু চৌধুরীকে বদলি করা হয়।জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর বিভাগীয় কমিশনার মৃনাল কান্তি দে সরেজমিন ভূমি অফিস পরিদর্শন ও ২৭ নভেম্বর সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাবেরা আক্তার এসব অভিযোগের উপর এসিল্যান্ড অফিসে এসে গণশুনানী করেন। এসময় ভূক্তভোগীরা তাদের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরলে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাসির উল্লাহ খান বলেন, এদেরকে নিয়মিতভাবেই বদলী করা হয়েছে। তবে এসিল্যান্ড অফিসের যাবতীয় ঘুষ-দুর্নীতি রোধে তিনি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।