ছাত্রলীগের পরবর্তী সম্মেলন নিয়ে জল্পনা
কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ: অক্টোবর-নভেম্বরে ঘোষণা আসতে পার
ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ বুধবার। এরই মধ্যে পরবর্তী সম্মেলন নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা। পরবর্তী নেতৃত্বে আসতে ইচ্ছুক নেতারা তৎপর লবিং-তদবিরে। সংগঠনের ২৮তম জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য এবং সম্প্রতি ছাত্রলীগের পরবর্তী সম্মেলন নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য নেতাকর্মীদের মধ্যে তৈরি করেছে বাড়তি উচ্ছ্বাস। এমন অবস্থায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বলছেন, আগামী অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে আসতে পারে ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটির পরবর্তী সম্মেলনের ঘোষণা।
২০১৫ সালের ২৫ ও ২৬ জুলাই ছাত্রলীগের ২৮তম সম্মেলন শেষে সাইফুর রহমান সোহাগকে সভাপতি ও এসএম জাকির হোসাইকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির মেয়াদ দুই বছর। সে হিসেবে আজ বুধবার বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী ২৭ বছরের বেঁধে দেয়া বয়সসীমা পরবর্তী সম্মেলনে বাড়ানো হবে কিনা- তা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা।
ছাত্রলীগের পূর্ববর্তী জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগঠনের নেতৃত্বের বয়সসীমা ২৭ বছরের স্থলে ২৯ বছর করার ঘোষণা দেন। তিনি তখন বলেছিলেন, আমি নেতৃত্বের বয়স ২৭ বছর ঠিক করে দিয়েছিলাম। সম্মেলন বিলম্বিত হওয়ায় দুই বছর নষ্ট হয়েছে। তাই গ্রেস পিরিয়ড দিতে হয়। এটি এখন ২৯ বছর হয়ে গেছে। ২৯ বছরই থাকতে হবে। তিনি বলেন, দুই বছর দেরি হওয়ায় আমি দোষ দেই না। ২০১৩ সালের মে থেকে নির্বাচন ঠেকানোর নামে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। ওই অবস্থায় সম্মেলন করা কঠিন ছিল। সংগঠনের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালিত হতে পারেনি বলেই দুই বছর দেরি হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর এমন বক্তব্য বিশ্লেষণ করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বলছেন, যেহেতু ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিকে বড় ধরনের কোনো আন্দোলন-সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হয়নি তাই এবার হয়তো অতি দ্রুতই সম্মেলনের ঘোষণা আসবে। আর আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নতুনভাবে সংগঠন গোছাতে চলতি বছরের মধ্যেই সম্মেলন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তারা। যদি নির্ধারিত সময়েই সম্মেলন হয়, তাহলে তো নেতৃত্বজট আর থাকছে না। সে ক্ষেত্রে পরবর্তী নেতৃত্ব নির্বাচনে সর্বোচ্চ বয়স কত হবে- তা নিয়েও হচ্ছে আলোচনা। তবে নেতাকর্মীরা বলছেন, যত আলোচনাই হোক না কেন, সবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলবেন তাই চূড়ান্ত হবে।
সম্মেলন নিয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, যেহেতু আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর কমিটি হয় না। সে ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে ছাত্রলীগের পরবর্তী সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হতে পারে। ‘সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে ছাত্রলীগের পরবর্তী সম্মেলন হবে।’
গত ১৩ জুলাই বিকালে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রলম্বিত হবে না। শিগগিরই আপনারা ছাত্রলীগের সম্মেলনের খবর পাবেন।’ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে দেয়া বক্তব্য ইঙ্গিত করে যে দ্রুতই সম্মেলন হয়ে যাবে।
তবে পরবর্তী সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার ক্ষেত্রে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী পক্ষ থেকে কী ধরনের কর্মসূচি আসছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে চলতি বছরের মধ্যেই কমিটি গঠনের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। যদি কোনো কারণে সেটি পিছিয়ে যায়- সে ক্ষেত্রে সম্মেলন পিছিয়ে যেতে পারে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত। তবে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সব পর্যায় থেকেই একটি কথা বলা হচ্ছে, সেটি হল ‘প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব হবে।’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘ছাত্রলীগের ধারাবাহিকতা আমরা কখনই ভাঙব না। ধারাবাহিকভাবে সব ইউনিটে সম্মেলন দেয়া হচ্ছে। রাজধানীর বাইরের শাখাগুলোতে কমিটি দিয়ে একে একে ঢাকার শাখাগুলোতেও সম্মেলন দেয়া হবে। এরপর জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আমরাও বিদায় নেব। আর এ বিষয়ে নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’ সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন বলেন, ‘সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা যেদিন দায়িত্বে এসেছি, তার পর দিন থেকেই আমাদের সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আস্তে আস্তে সব শাখায় সম্মেলন দেব। এরপর ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন হবে। এরপর জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা বিদায় নেব। নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্ত মানতে আমরা শতভাগ প্রস্তুত।
২০১৫ সালের ২৫ ও ২৬ জুলাই ছাত্রলীগের ২৮তম সম্মেলন শেষে সাইফুর রহমান সোহাগকে সভাপতি ও এসএম জাকির হোসাইকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির মেয়াদ দুই বছর। সে হিসেবে আজ বুধবার বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী ২৭ বছরের বেঁধে দেয়া বয়সসীমা পরবর্তী সম্মেলনে বাড়ানো হবে কিনা- তা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা।
ছাত্রলীগের পূর্ববর্তী জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগঠনের নেতৃত্বের বয়সসীমা ২৭ বছরের স্থলে ২৯ বছর করার ঘোষণা দেন। তিনি তখন বলেছিলেন, আমি নেতৃত্বের বয়স ২৭ বছর ঠিক করে দিয়েছিলাম। সম্মেলন বিলম্বিত হওয়ায় দুই বছর নষ্ট হয়েছে। তাই গ্রেস পিরিয়ড দিতে হয়। এটি এখন ২৯ বছর হয়ে গেছে। ২৯ বছরই থাকতে হবে। তিনি বলেন, দুই বছর দেরি হওয়ায় আমি দোষ দেই না। ২০১৩ সালের মে থেকে নির্বাচন ঠেকানোর নামে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। ওই অবস্থায় সম্মেলন করা কঠিন ছিল। সংগঠনের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালিত হতে পারেনি বলেই দুই বছর দেরি হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর এমন বক্তব্য বিশ্লেষণ করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বলছেন, যেহেতু ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিকে বড় ধরনের কোনো আন্দোলন-সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হয়নি তাই এবার হয়তো অতি দ্রুতই সম্মেলনের ঘোষণা আসবে। আর আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নতুনভাবে সংগঠন গোছাতে চলতি বছরের মধ্যেই সম্মেলন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তারা। যদি নির্ধারিত সময়েই সম্মেলন হয়, তাহলে তো নেতৃত্বজট আর থাকছে না। সে ক্ষেত্রে পরবর্তী নেতৃত্ব নির্বাচনে সর্বোচ্চ বয়স কত হবে- তা নিয়েও হচ্ছে আলোচনা। তবে নেতাকর্মীরা বলছেন, যত আলোচনাই হোক না কেন, সবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলবেন তাই চূড়ান্ত হবে।
সম্মেলন নিয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, যেহেতু আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর কমিটি হয় না। সে ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে ছাত্রলীগের পরবর্তী সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হতে পারে। ‘সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে ছাত্রলীগের পরবর্তী সম্মেলন হবে।’
গত ১৩ জুলাই বিকালে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রলম্বিত হবে না। শিগগিরই আপনারা ছাত্রলীগের সম্মেলনের খবর পাবেন।’ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে দেয়া বক্তব্য ইঙ্গিত করে যে দ্রুতই সম্মেলন হয়ে যাবে।
তবে পরবর্তী সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার ক্ষেত্রে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী পক্ষ থেকে কী ধরনের কর্মসূচি আসছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে চলতি বছরের মধ্যেই কমিটি গঠনের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। যদি কোনো কারণে সেটি পিছিয়ে যায়- সে ক্ষেত্রে সম্মেলন পিছিয়ে যেতে পারে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত। তবে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সব পর্যায় থেকেই একটি কথা বলা হচ্ছে, সেটি হল ‘প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব হবে।’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘ছাত্রলীগের ধারাবাহিকতা আমরা কখনই ভাঙব না। ধারাবাহিকভাবে সব ইউনিটে সম্মেলন দেয়া হচ্ছে। রাজধানীর বাইরের শাখাগুলোতে কমিটি দিয়ে একে একে ঢাকার শাখাগুলোতেও সম্মেলন দেয়া হবে। এরপর জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আমরাও বিদায় নেব। আর এ বিষয়ে নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’ সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন বলেন, ‘সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা যেদিন দায়িত্বে এসেছি, তার পর দিন থেকেই আমাদের সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আস্তে আস্তে সব শাখায় সম্মেলন দেব। এরপর ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন হবে। এরপর জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা বিদায় নেব। নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্ত মানতে আমরা শতভাগ প্রস্তুত।