ছাত্রলীগের সভায় তোপের মুখে সোহাগ-জাকির, ব্যাপক হট্টগোল
সভায় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা পূর্বপশ্চিমকে জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় দুই নেতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, ‘আগামী ২৬ জুলাই বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নতুন করে কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণের বিষয়ে কি হলো?’ এমন প্রশ্নের জবাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর দায়ভার চাপিয়ে দেন। পরে সেই ছাত্রনেতা সম্পূরক প্রশ্নে আরো বলেন, ‘আমরা কি তবে অনিশ্চিয়তার মধ্যে থাকবো? বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তো একটি গঠনতন্ত্র মেনে চলে। যদি নির্দিষ্ট সময়ে কাউন্সিল না হয়, তবে নেত্রীর নির্দেশে তা সংশোধন করা উচিত।’ এ প্রশ্নের উত্তরে সোহাগ-জাকির কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এরপর একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন তুলেন, ‘ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কিভাবে এত বিত্তশালী হয়েছেন। তারা কিভাবে এত দামি গাড়িতে চড়েন?’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একটি ভবনের কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ওই সাংগঠনিক সম্পাদক। এসব প্রশ্নের জবাবে সাইফুর রহমান সোহাগ এবং জাকির হোসেন উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ওই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন এস এম জাকির হোসেন।
এছাড়া অন্যান্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, ‘আপনারা দুজন মিলে ছাত্রলীগের সব কাজ করছেন। আমাদেরকে কেন কাজে লাগানো হচ্ছে না? বিভিন্ন ইউনিটের কাউন্সিল হলেও কেন সেখানে কমিটি দেয়া হচ্ছে না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি জেলার ক্ষেত্রে এমনটা কেন হচ্ছে?’ এসব প্রশ্নেরও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতা। সভায় ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বিবাহিত ছাত্রলীগ নেতাদের পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করলে তাদের বহিষ্কার করা হবে বলেও হুমকি দেন তিনি।