ছেলে ধর্ষক, লজ্জায় বাবার আত্মহত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে গত ১৯ জুন শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে নাঈম ইসলাম। এ ঘটনায় লজ্জা ও অপমানে নাঈমের বাবা বসু মিয়া আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার ভোরে উপজেলার গোসাইপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বসু মিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বসু মিয়ার বাড়ি সদর উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামে। নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ছেলের ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হওয়ার ভয়ে বসু মিয়া বাড়ি ছেড়ে গোসাইপুর গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে আসেন। ঘটনাটি নিয়ে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভোরে আত্মীয়ের বাড়ির পাশে একটি গাছের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বসু মিয়া। পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এদিকে, শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত নাঈমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিন ভোররাতে সদর উপজেলার তালশহর (পূর্ব) ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পর থেকে সে ওই গ্রামে পালিয়ে ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। গত ১৭ জুন শ্যালিকা তামান্না আক্তার ভগ্নিপতি নাঈমের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ১৯ জুন রাতে নাঈম তার স্ত্রী-সন্তানকে আমের জুস খাইয়ে অচেতন করে তামান্নাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তামান্না চিৎকার শুরু করলে নাঈম শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে। পরদিন সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে নাঈম পালিয়ে অষ্টগ্রামে তার মামাবাড়ি চলে যায়।