চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে সাধারণ সম্পাদক পদে আপাতত কেউ থাকছেন না। সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর বুধবার স্থিতাবস্থা দিয়ে নিপুণের আপিলটি ফুল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার জজ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে রোববার এ বিষয়ে শুনানি হবে। ওই দিন পর্যন্ত শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান বা নাসরিন আক্তার নিপুণের কেউই থাকছেন না। আদালতে অভিনেত্রী নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান। অন্যদিকে অভিনেতা জায়েদ খানের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও ব্যারিস্টার আহসানুল করিম। সঙ্গে ছিলেন নাহিদ সুলতানা যুথি।
আদেশে আদালত বলে, ‘স্ট্যাটাসকো (স্থিতিবস্থা) স্ট্যাটাস থাকবে। এ কয়দিন কিছু হবে না, কেউ ঢুকবে না।’ চিত্রনায়ক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে আপিল বোর্ডের দেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আপিল করেন চিত্রনায়িকা নাসরিন আক্তার নিপুণ। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেয় বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে বোর্ডের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করে আদালত। পাশাপাশি আদালত আপিল বোর্ডের দুই সদস্য ও নিপুণকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন জায়েদ খানকে দায়িত্ব পালনে কোনো রকম বিরক্ত না করেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নিপুণ।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে আপিল বোর্ড। এ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হয় অভিনেত্রী নাসরিন আক্তার নিপুণকে। এফডিসিতে ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান এ ঘোষণা দেন।বোর্ডের এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জায়েদ খান। গত ২৮ জানুয়ারি এফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হয়।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
২১৯ বার