জেলা আ’লীগের ইফতারঃ রক্ষা করলেন মন্ত্রী মান্নান, উপেক্ষিত সভাপতি মতিউর!
বিশেষ প্রতিবেদকঃঃপরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বিব্রত কর অবস্থান থেকে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের রক্ষা করলেন। আজ শুক্রবার ছিলো জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় ইফতার পার্টি। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমানের অনুপস্থিতি কে দলের দায়িত্ব পালন করবেন? এ নিয়ে দলের মধ্যে মতবিরোধ চলছিলো। সভাপতি মতিউর রহমান চিকিৎসা উপলক্ষে বর্তমানে আমেরিকা অবস্থান করছেন। দেশ ত্যাগের আগে তিনি কাউকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে যাননি। দায়িত্ব না দিলেও কেউকেউ সুনামগঞ্জ ৫ আসন ছাতক ও দোয়ারার সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিককে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে গেছেন বলে প্রচার করতে থাকেন। আবার কেউকেউ সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল হুদা মুকুটের পক্ষ নেন।
জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমানের অনুপস্থিতির পর থেকে আজ পর্যন্ত জেলা আওয়ামীলীগের বড় কোন অথবা ঐক্যবদ্ধ প্রোগ্রাম হয়নি। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিয়ে তাই কোন বিতর্কের সুযোগও সৃষ্টি হয়নি। আজকের ইফতার পার্টি নিয়ে তাই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিলো। প্রশ্ন দেখা দেয় কে নেতৃত্ব দেবেন আজকের ইফতার পার্টির? দলের সহ সভাপতি সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক না জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামীলীগের সিনিওর সহ-সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট? শেষ পর্যন্ত ইফতার পার্টিতে দুই সহ-সভাপতি উপস্থিতি থাকলেও বড় ধরনের কোন মতবেদ দেখা দেয়নি। মিমাংসার মাধ্যমে জেলা কার্যকরী কমিটি সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ইফতার পার্টির নেতৃত্ব দেন। বিতর্কিত দুই সহ-সভাপতিও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। দু’জনের একজন মন্ত্রীর ডানে আর অন্যজন মন্ত্রীর বামে উপবিষ্ট হন। আজকের মতো কোন ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা ও বিতর্ক থেকে জেলা আওয়ামীলীগকে মাননীয় মন্ত্রী উদ্ধার করলেও এটা সত্য দলের ভেতরের অমিমাংসিত ইস্যু থেকেই গেলো। সভাপতি দেশে ফিরে এসে দায়িত্ব গ্রহন না করা পর্যন্ত বিতর্কিত ইস্যু বিতর্কিতই থেকেই গেলো। আগামী ১২ জুনে জেলা সভাপতি দেশে ফিরে আসছেন বলে বিশ্বস্থ সুত্রে জানা গেছে। তিনি আসার পর হয়তো এর একটা সুরাহা হবে।
অপর দিকে আজকের ইফতার পার্টি নিয়ে সভাপতি মতিউর রহমানের অনুসারী কেউকেউ উষ্মাও প্রকাশ করছেন। অনুষ্টানে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে কোন বক্তা সভাপতি মতিউর রহমানের নাম ভুলেও উল্লেখ করেননি। সভাপতির অনুসারী কেউকেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ স্বজন প্রতিবাদে বলেন, সর্বজন শ্রদ্ধেয় বর্ষিয়ান নেতা জনাব মতিউর রহমান বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। মানবিক বিবেচনায় তার অসুস্থতার কথা বিবেচনাকরে এই মহতী ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তার সুস্থতার জন্য দোয়া করা উচিৎ ছিলো। তা না করে ইচ্ছাকৃত ভাবে তাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ভুলেও তার কথা একবারের জন্য উচ্চারিত হয়নি। তার প্রতি নেতা এবং বক্তাদের এই অবজ্ঞা সত্যি আমাদেরকে মর্মাহত করেছে।