জেলা-উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হবে: প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত ঠেকাতে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় সংক্ষিপ্ত পরিসরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে কেউ যাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে না যায় সেজন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর সমস্ত ইতিহাস বিকৃত হয়ে গেল। একজন ঘোষক হয়ে গেল, একজন একটা বাঁশি ফুঁ দিল তো মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। নানা ধরনের কাল্পনিক ইতিহাস দিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করা হল। ২১টি বছর একটি জাতির জন্য কম সময় নয়। অনেক পানি গড়িয়েছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তো বলতে পারি, পঁচাত্তরের পর যে ঘটনা, যে অপপ্রচার চলেছে— তাতে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছে। সত্যিকার ইতিহাস জানতে পারে নাই।’ পঁচাত্তরের পর পুরো একটি প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস শিখে বিভ্রান্ত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে এবং চেতনাকে সমুন্নত রাখতে এই জাদুঘর বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি ভাড়া করা বাড়িতে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কার্যক্রম। ২১ বছর পর জাদুঘর তার নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর হল। তিনটি বেসমেন্টসহ নয়তলা এই ভবন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকার জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে জমি এবং আর্থিক অনুদান দিয়েছে। বাংলাদেশের সবক’টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও অনুদান এসেছে এই জাদুঘর নির্মাণে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি ভাড়া করা বাড়িতে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কার্যক্রম। ২১ বছর পর জাদুঘর তার নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর হল। তিনটি বেসমেন্টসহ নয়তলা এই ভবন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকার জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে জমি এবং আর্থিক অনুদান দিয়েছে। বাংলাদেশের সবক’টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও অনুদান এসেছে এই জাদুঘর নির্মাণে।