গত ৫০ বছরের তুলনায় পৃথিবী সময়ের চেয়ে দ্রুত গতিতে চলেছে। কীভাবে এবার এই ব্যাপারকে সামলানো যায় তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বিজ্ঞানীরাও। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, পৃথিবী ২৪ ঘণ্টার আগেই তার নিজের অক্ষের উপর ঘোরা সম্পন্ন করে ফেলছে। গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে এই পরিবর্তন এসেছে বলে জানানো হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো কতো দ্রুত গতিতে চলছে? কীভাবে এটি আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলবে? পৃথিবী ২৪ ঘণ্টায় তার অক্ষের ওপর একবার পাক খায়। তবে গত বছর জুন থেকে এখন অবধি পৃথিবীটি নিজের অক্ষের উপর দিয়ে দ্রুত গতিতে চলেছে। এ কারণে পৃথিবীর সমস্ত দেশের সময় বদলে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের নিজ নিজ জায়গায় থাকা অ্যাটোমিক ঘড়ির সময় পরিবর্তন করতে হবে। অর্থাৎ এবার বিজ্ঞানীদের তাদের ঘড়িতে নেতিবাচক লিপ সেকেন্ড যুক্ত করতে হবে। ১৯৭০ সাল থেকে এখন অবধি ২৭ লিপ সেকেন্ড যুক্ত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ ওয়েবসাইট ডেইলি মেইলে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, বিগত বেশ কয়েক দশক ধরে, পৃথিবী ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তার অক্ষের ওপর ঘোরে। তবে গত বছরের জুন থেকে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে ঘূর্ণন শেষ করছে। এই মুহূর্তে, পৃথিবী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ০.৫ মিলি সেকেন্ডের কম সময় নিয়ে ঘুরছে। যার ফলে আমাদের ২৪ ঘন্টা থেকে ০.৫ মিলি সেকেন্ড কমে গেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮৬,৪০০ সেকেন্ড হয়। গত বছরের জুন থেকে এই ৮৬,৪০০ সেকেন্ড থেকে ০.৫ মিলিসেকেন্ড হ্রাস পেয়েছে। ১৯ জুলাই দিনটি ২৪ ঘন্টার থেকে ১.৪৬০২ মিলি সেকেন্ড কম ছিলো। এর আগের সবচেয়ে ছোট দিনটি ছিলো ২০০৫ সালে। তবে গত এক বছরে এই রেকর্ড মোট ২৮ বার ভেঙে পড়েছে। সময়ের এই পরিবর্তনটি কেবল অ্যাটোমিক ঘড়িতে দেখা যায়। তবে এর কারণে অনেক সমস্যা আসতে পারে। আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক সমস্যা হতে পারে। কারণ আমাদের স্যাটেলাইট, এবং যোগাযোগ ডিভাইসগুলো সৌর সময় অনুসারে সেট করা আছে। এই সময় তারা, চাঁদ এবং সূর্যের অবস্থান অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি সিনিয়র রিসার্চ সায়েন্টিস্ট পিটার হুইবারলিও স্বীকার করে নিয়েছেন যে, পৃথিবী তার নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কম সময়ে একবার পাক খাচ্ছে। গত ৫০ বছরে এটি প্রথমবার ঘটছে। সূত্র: কলকাতা২৪।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৪০ বার