তার ভাষায়- এটা তো সেনা প্রত্যাহার নয়। কোনো কারণ ছাড়াই এটা হলো পুরোপুরি আত্মসমর্পণ। তিনি আমাদের বিমান ঘাঁটিগুলোকে আত্মসমর্পণ করিয়েছেন। আমাদের অস্ত্রগুলো সমর্পণ করিয়েছেন। আমাদের দূতাবাসকে আত্মসমর্পণ করিয়েছেন। আলাবামার কালম্যান এলাকায় সিনেট নির্বাচনে লড়ছেন মো ব্রুকস। তার প্রচারণা সভায় কয়েক হাজার সমর্থকের উদ্দেশে ভাষণ দেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। এ সময় তিনি আফগানিস্তানে শত শত কোটি ডলার খরচ ও সরঞ্জামের উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র ও সরঞ্জাম ফেলে আসা হয়েছে (আফগানিস্তানে)। আর তা চলে গেছে তালেবানদের হাতে। এর মধ্যে রয়েছে ৬ লাখ অ্যাসল্ট রাইফেল, দুই হাজার সাজোয়া যান, ৪০টি যুদ্ধবিমান। ব্লাকহক। ট্রাম্প বলেন, এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। সবার উচিত ছিল, প্রতিজন মানুষ, আমাদের নাগরিক, অস্ত্র- সব যতক্ষণ আফগানিস্তান ত্যাগ না করবে, ততক্ষণ সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখা। তারপর আমাদের সব ঘাঁটিতে বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে বলা উচিত ছিল- ‘বাই বাই’।
ট্রাম্প বলেন, ২০ বছরের যুদ্ধের পর তার প্রশাসন স্থির করেছিল যে, আফগানিস্তান ত্যাগের সময় এসে গেছে। তবে সেই ত্যাগটা হতে হবে মর্যাদার। খুব শিগগিরই আমরা ১১ই সেপ্টেম্বরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আর বাইডেনের কারণে আমরা সে সময়ে দেখতে যাচ্ছি দূতাবাসে উড়ছে তালেবানদের পতাকা। এ সময় তিনি নিজের প্রেসিডেন্সির সময় তালেবান নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার পক্ষে কথা বলেন। তিনি বলেন, এ জন্য তাদের সঙ্গে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে শর্তসাপেক্ষ চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তিকে তিনি সবচেয়ে ভাল চুক্তি বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেছেন, তালেবান নেতা মোল্লা আবদুল গণি বারাদারের সঙ্গে যখন তার সাক্ষাৎ হয় তখন তিনি এটা পরিষ্কার করেছিলেন, সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে মার্কিনী এবং মার্কিন সরকারকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। তার ভাষায়, আমি দায়িত্বে থাকলে তালেবানরা আমাদের বিমানঘাঁটি দখল নেয়ার কথা বা অথবা আমাদের অস্ত্রের সামনে প্যারেড করার দুঃস্বপ্ন দেখাতে পারতো না।