টেস্টে সেরা স্মিথ, ওয়ানডেতে ওয়ার্নার
অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে অ্যালান বর্ডার পদক জিতলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। এছাড়া বর্ষসেরা ওয়ানডে খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন মারকুটে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। গতরাতে মেলবোর্নে জাকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। গত বছর টেস্টে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলেছেন স্মিথ। ১১ ম্যাচের ২০ ইনিংসে ব্যাট হাতে ১৩০৫ রান করেন তিনি। এই ফরম্যাটে বিশ্বে তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৩টি হাফসেঞ্চুরির সাথে ৬টি সেঞ্চুরিও করেছেন অসি দলপতি। ভারত ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তিনটি করে সেঞ্চুরি হাকিয়েছেন স্মিথ। এর মধ্যে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ডাবল-সেঞ্চুরি হাকিয়ে ২৩৯ রানে থামেন তিনি। টেস্ট ফরম্যাটে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের কারণেই ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মত বোর্ডার টদক জিতলেন স্মিথ। ২০১৫ সালে প্রথমবার এই অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন তিনি। ২৪৬ ভোট পেয়ে এই অ্যাওয়ার্ড জিতেন এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। ১৬২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন ওয়ার্নার। মাত্র ৬ ভোট কম, অর্থাৎ ১৫৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন অফ-স্পিনার নাথান লিয়ন। ১৯ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ চারবার করে অ্যালান বর্ডার পদক জিতেন অস্ট্রেলিয়ার দুই সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং ও মাইকেল ক্লার্ক।
দ্বিতীয়বারের মত মেডেল জিতে আবেগে আব্লুত স্মিথ বলেন, ‘অবশ্যই আমার জন্য বছরটি দুর্দান্ত ছিল। ব্যাট হাতে দু’টি সিরিজে আমি শতভাগ সাফল ছিলাম। একইভাবে ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলার চেষ্টা করবো এবং সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেবো, যাতে দলকে জয়ের অবস্থায় নিয়ে যেতে পারি।’ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এখন পর্যন্ত ৬১ ম্যাচে ২৩টি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরিতে ৬০৫৭ রান করেন স্মিথ। ২০১৭ সালে ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ওয়ার্নার। তবে ওয়ানডেতে বিশ্বে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় ১৫ নম্বরে ছিলেন তিনি। ১৩ ম্যাচে ৬৯১ রান করেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। সীমিত ওভারের বর্ষসেরা হন তিনি। ছোট ফরম্যাটের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ। ৫ ম্যাচে ১৫৮ রান ছিলো এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যানের। ২১ বছর বয়সী জে রিচার্ডসন হয়েছেন ব্র্যাডম্যান বর্ষসেরা তরুণ খেলোয়াড়।