ট্রেন দূর্ঘনায় মৃত্যুঃ দায়ভার কে নেবে? সরকার নাকি মন্ত্রী?
হিরন মাহমুদ এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকেঃঃ সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিহত । ড. এ কে আবদুল মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সিলেটের রেলপথ উন্নত করতে রেলমন্ত্রী জনাব মো. নুরুল ইসলাম সুজন বরাবর ১৮ জানুয়ারি সর্বপ্রথম ডিও লেটার দিয়েছিলেন । সিলেট-ঢাকা রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর নাজুক অবস্থার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশের রেলপথ ও রেলসেবার মানের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ রেলসেবার এই সুফল ভোগ করলেও সিলেটবাসী অনেকাংশেই এই উন্নত রেলসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনসমূহে পুরাতন কোচ বা বগির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এর ফলে সিলেটগামী রেলযাত্রীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তাই, এই অঞ্চলের গুরুত্ব বিবেচনা করে দুই রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীদের উন্নত রেলসেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে ডিও লেটারে উল্লেখ করেছিলেন। ছয়মাস হল, উনি কর্ণপাত করলেন না। এর দায়ভার কে নেবে? সরকার নাকি মন্ত্রী? কেউ কি ফিরিয়ে দিতে পারবে সন্তানহারা মা-বাবার, বাবা-মা হারানো সন্তানের, ভাই হারানো বোনের নিশি জাগা আর্তনাদ? ডিও লেটার যদি গুরুত্ব দিতেন আজ পাঁচটি জীবন ঝরে পরতনা। শাহবাজপুর সেতু দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সড়ক ও জনপথ মন্ত্রী কে ২৩জুন ডিও লেটার দিয়েছেন আমাদের মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী। না জানি কতজন নিহত হবার পর ব্যবস্থা গ্রহণের মর্জি হবে।-হিরন মাহমুদ,সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি সিলেট জেলা।