ঠাকুরগাঁওয়ে ঋণের দায়ে কৃষকের আত্মহত্যা
ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় কুঞ্জমোহন সিংহ (৪০) নামে এক কৃষক ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের নাগেশ্বরবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কুঞ্জমোহন সিংহ একই এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানান, কুঞ্জমোহনের বড় মেয়ে বেলী রাণীর বিয়ে দিতে এলাকার দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে ঋণ নিয়েছিলেন। কথা ছিল ঘরে ফসল তোলার পর তা বিক্রি করে দেনা পরিশোধ করবেন। কিন্তু বিধির বাম! ধানের ফলন ভাল হলেও বাজার দর নিম্মমুখী। কম দামে ধান বিক্রি করে কুঞ্জমোহন দাদন ব্যবসায়ীর সুদ ও আসল টাকার দাবি মেটাতে ব্যর্থ হন। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সমর কুমার চ্যাটার্জি বলেন, কুঞ্জমোহন ঘটনার দিন রাতে বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি মেহগনি গাছে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ এ খবর পেয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে থানায় নেয়। পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে তার সৎকার করা হয় । কুঞ্জমোহনের স্ত্রী সন্ধ্যা রাণী জানান, সংসারে চাহিদা মেটাতে তার স্বামী খোচাবাড়ি গ্রামের দাদন ব্যবসায়ী আবদুল মান্নানের কাছে চড়া সুদে ঋণ নিয়েছিলেন। টাকার জন্য ওই দাদন ব্যবসায়ী তাদের বাড়িতে আসেন। তবে ধান বিক্রি না হওয়ায় তার স্বামী ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। এর কয়েকদিন পরেই কাউকে না জানিয়ে তার স্বামী এ পথ বেছে নেন। এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোসাব্বেরু হক বলেন, ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ওই কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলে তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানা গেছে। তবে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।