‘ডুব’ নিয়ে আমার কোন আগ্রহ নেই
মোহাম্মদ হোসেন-
ফারুকী। চলচিত্রকার। তার তিনটা ছবি আমি দেখেছি। থার্ড পারসন সিঙ্গলার নাম্বার, টেলিভিশন ও ব্যাচেলার। এখন মুক্তি পেয়েছে ” ডুব”। ডুব নিয়ে আমার কোন আগ্রহ নেই। আমি যদি সত্যজিৎ রায়কে বাংলা ছবির মানদণ্ড ধরি, তাহলে ফারুকীর ছবিকে ৩৩ মার্ক দেবো। বড়জোর ৫০ । লেটার তো না-ই। আমার মতে তার এসব ছবি থেকে ” মনপুরা ” ও “মাটির ময়না” অনেক ভাল ছবি। কিন্তু এসব ছবি কে বানিয়েছে, তা হয়ত কম দর্শকই বলতে পারবেন। কারণ তারা মিডিয়া কব্জা করতে পারেননি। ” আয়নাবাজির” ভেল্কি তারা জানেন না। মিডিয়াতেও সিন্ডিকেট আছে। সম্ভবত প্রথম আলো, আনিসুল হক ও ফারুকী একটা সিন্ডিকেট। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কেউ নাই। এরা এমনই ঢাকঢোল পেটায় যে, আপনি বাপের পকেট কেটে হলেও সিনেমা দেখতে যাবেন। লস হলে আপনার হবে, তাদের কী। অবশ্য ফারুকী খারাপ চলচিত্রকার, সেটা আমি বলি না। মন্দের ভাল। এটা আমার অভিমত। আপনার অভিমত ভিন্ন হতেও পারে। কোনটি ভাল চলচিত্র, তা বলা একটু কঠিনই। এটা নির্ভর করে, আপনার দেখার অভিজ্ঞতা, আপনার শিল্প বোধের গভীরতার উপর। খারাপ লাগে, আমরা যখন নিজ স্বার্থে চামচা হয়ে যাই। রাশিয়া পতনের অন্যতম কারণ ছিল- বুদ্ধিজীবীদের বিক্রি হয়ে যাওয়া। আমাদের তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই এখন থালা হাতে ভিক্ষা করেন। কেউ পদের জন্য। কেউ খ্যাতির জন্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক ছিলেন সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। একজন লেখক। তিনি প্রথম আলোতে একটা বইয়ের রিভিউ লিখলেন। মশিউল আলমের বই নিয়ে। পড়ে মনে হলো, দুর্দান্ত এক বই। খোয়াবনামা টাইপ। জলদি গিয়ে কিনলাম। কয়েক পৃষ্ঠা পড়ার পর মনে হলো- তিনি এই রিভিউ লিখেছেন মশিউল আলমকে খুশি করার জন্য। প্রথম আলোকে। তার লাভ ? পথটা খোলা রাখলেন। সবচে জনপ্রিয় পত্রিকায় লেখা ছাপার। এই হলো বুদ্ধিজীবী ! এরকম অনেক বুদ্ধিজীবী ফারুকীর পেছনেও আছেন। আমরা বাঙ্গালিরা হুজুগের পাগল। কেউ ‘ভাল’ বললেই হুমড়ি খেয়ে পড়ি। যিনি ভাল বললেন, তার যোগ্যতা পরখ করি না। সুতরাং অন্যের উপর বিশ্বাস না রেখে, নিজের উপর রাখাই ভাল। ফারুকির ‘ ডুব’ নিয়ে প্রথমেই আপত্তি এসেছে। হুমায়ুনের স্ত্রী শাওনের কাছ থেকে। হুয়ায়ুনের জীবনী বলে। অবশ্য যতক্ষণ ফারুকী এটা স্বীকার না করবেন, ততক্ষণ এটা আপত্তি-ই। ডুবের জন্য শুভ কামনা। ফারুকীর জন্যও।