ডেপুটি মেয়র ও কেবিনেট থেকে বাদ পড়লেন কাউন্সিলার শিরিয়া খাতুন
টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র ও কেবিনেট থেকে বাদ পড়েছেন দীর্ঘদিনের কাউন্সিলার শিরিয়া খাতুন। ১৭ মে বুধবার রাতে কাউন্সিলের এজিএমে নির্বাহী মেয়র জন বিগস তার নতুন কেবিনেট ঘোষণা করেন। এতে বেশ কয়েক পদে তিনি পরিবর্তন আনেন। কেবিনেটে নতুন করে যোগ দিয়েছেন কাউন্সিলার আব্দুল মুকিত চুনু এমবিই এবং কাউন্সিলার আমিনা আলী। আব্দুল মুকিত চুনু এমবিইকে কালচার এন্ড ইয়ুথ এবং আমিনা আলীকে এনভায়রনমেন্ট বিষয়ক কেবিনেট মেম্বারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর আগে কালচারাল বিষয়ক লিড মেম্বার ছিলেন কাউন্সিলার আসমা বেগম। আসমা বেগমকে দেয়া হয়েছে কমিউনিটি সেইফটি বিষয়ক কেবিনেট মেম্বারের দায়িত্ব। এর ফলে কেবিনেটের ১০ সদস্যের মধ্যে বাংলাদেশীদের সংখ্যা ৫ থেকে কমে ৩ এ দাড়িঁয়েছে।
এদিকে ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলার র্যাচেল সন্ডার্সের দায়িত্ব পরিবর্তন হয়েছে। তার নতুন দায়িত্ব হচ্ছে হেলথ এন্ড এডাব্ব সার্ভিস। সোমালী টাস্কফোর্স বাস্তবায়নও তার অধীনে থাকবে। তিনি এতোদিন এডুকেশন এন্ড চিলড্রেন সার্ভিসের দায়িত্বে ছিলেন। অপর ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলার শিরিয়া খাতুন চলে গেছেন ব্যাক বেঞ্চে। এর আগে তিনি ডেপুটি মেয়র এবং কমিউনিটি সেইফটি বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার ছিলেন। শিরিয়া খাতুন বেক বেঞ্চে চলে যাবার কারনে ৩ জনের পরিবর্তে এখন ২ জন ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করবেন। স্ট্যাটিটিউরি ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলার সিরাজুল ইসলামের দায়িত্বে কোন পরিবর্তন হয়নি। তিনি হাউজিং এর দায়িত্বে বহাল রয়েছেন। ফেইথ কমিউনিটি, ওয়েলফেয়ার রিফর্ম রেসপন্স এবং কমিউনিটি ল্যাংগুয়েজ সার্ভিসের দায়িত্বও তাকে দেয়া হয়েছে।
এদিকে কেন শিরিয়া খাতুনকে কেবিনেট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে এ প্রসঙ্গে মেয়র জনবিগস বলেন, শিরিয়া নিজ থেকেই কেবিনেটে থাকার অপারগতা প্রকাশ করেছে। তাই তাকে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছি। সে যতদিন ছিল কেবিনেটে খুব ভাল সার্ভিস দিয়েছে। অন্যদিকে শিরিয়ার এব্যাপারে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কাউন্সিল মিটিংয়ে তাকে পেছনের সারিতে বসে থাকতে দেখা গেছে।