কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মহানগরের স্বনামধন্য আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯৭ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। গতকাল রোববার চিঠিটি স্বাক্ষর হয়ে আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। স্কুলগুলোর মধ্যে বেসরকারি চারটি ও সরকারি চারটি স্কুল রয়েছে। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রবণ কুমার ভট্টাচার্য চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বেসরকারি স্কুলগুলোর মধ্যে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৬ জন শিক্ষক, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৪ জন, ঢাকা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ জন, রাজউক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫ জন রয়েছেন। আর সরকারি চারটি স্কুলের মধ্যে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের ১২ জন, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৪ জন, খিলগাঁও সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ১ জন এবং ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের ৮ জন শিক্ষক রয়েছেন। সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, কোচিং বন্ধে কোনো আইন না থাকায় সাধারণত কোচিং বা টিউশনি থেকে উপার্জিত আয়ের ওপর কোনো ভ্যাট বা ট্যাক্স দেওয়া হয় না। ফলে এভাবে উপার্জিত আয় অনুপার্জিত আয়ে পরিণত হয়। কোচিং বাণিজ্যের ফলে যেভাবে অনৈতিক আয় ভোগ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে, তেমনি এটি বুদ্ধিবৃত্তিমূলক মেধা সৃষ্টির প্রয়াসের পরিবর্তে অবৈধ অর্থ উপার্জনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া কোচিং এর কারণে শিক্ষার্থীরা বিশেষ সাজেশন অনুসারে স্বল্প সংখ্যক প্রশ্ন পড়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। ফলে পূর্ণাঙ্গ বই সম্পর্কে তারা ধারণা পাচ্ছে না।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn