ঢাকা-দিল্লী বিদ্যুৎ সম্পর্ক সম্প্রসারিত হচ্ছে
২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে সবার জন্য জ্বালানি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নের যথাযথ লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আজ বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ বিনিময়ের অর্থনৈতিক সুফল’ শীর্ষক এক কর্মশালায় একথা বলেন। এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় জানা যায়, ইন্টিগ্রেটেড রিসার্চ এ্যান্ড এ্যাকশন ফর ডেভেলপমেন্ট (আইআরএডি) আয়োজিত এ কর্মশালায় হাইকমিশনার বলেন, এটা খুবই আনন্দের বিষয় যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৌশলগত অংশীদারিত্বকে ছাড়িয়ে দু’দেশের মধ্যে সকল মানবিক প্রয়াস সংশ্লিষ্ট খাতে অংশীদারিত্বের উদ্যোগ নিয়েছেন।
দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যুৎ বাণিজ্য বিস্তারের লক্ষ্যে আয়োজিত এই কর্মশালায় মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব উদ্যোগে জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করতে দ্বিপক্ষীয়, উপ-আঞ্চলিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় পদক্ষেপে বিদ্যুৎ খাতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা সম্প্রসারিত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ভারত থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে এবং আরো ৫শ’ মেগাওয়াট আমদানির আলোচনা চলছে। দু’দেশের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতেও সহযোগিতা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের পাবনার রূপপুরে রাশিয়া ও ভারতের সহযোগিতায় ২৪শ’ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। বাংলাদেশে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে দুই প্রতিবেশী রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে। হাইকমিশনার বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে ভারতের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি কোম্পানি রিলায়েন্স পাওয়ার ও আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে। বাসস।