তরুণ-তরুণীর লাশ: সম্রাট হোটেলের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
প্রায় দুই মাস আগে নগরীর ফার্মগেটের সম্রাট হোটেল থেকে দুই তরুণ-তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ওই হোটেলের মালিক জসিম উদ্দিন চৌধুরী কচিসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত তরুণীর বাবা ১৪ মে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। রোববার মামলাটি গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম তেজগাঁও থানার ওসিকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন। মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী আলী আহাদ খান জিকু এসব তথ্য জানিয়েছেন। মামলায় সম্রাট হোটেলের মালিক ছাড়াও হোটেলের ব্যবস্থাপক রাসেল আহমেদ সুমন ওরফে লিটন ও হোটেলের তত্ত্বাবধায়ক আহাম্মদ হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত সূত্র জানায়, ২ এপ্রিল বিকালে গ্রিনরোডের সম্রাট হোটেলের আটতলার একটি কক্ষ থেকে আমিনুল ইসলাম ও মরিয়ম চৌধুরী নামের দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা আগের দিন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সেখানে উঠেছিলেন। আমিনুল তেজগাঁও কলেজে ও মরিয়ম ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়তেন। আমিনুল কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের মোশাররফ হোসেনের ছেলে। তিনি একটি মেসে থাকতেন। আর মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের মোস্তাক আহম্মেদ চোধুরীর মেয়ে মরিয়ম। তিনি থাকতেন একটি মহিলা হোস্টেলে।
মামলার বাদী ও নিহত তরুণীর বাবা মোস্তাক আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, থানা-পুলিশ আমার মামলাটি গ্রহণ করেনি। বাধ্য হয়ে আমি আদালতে মামলা দায়ের করেছি। মামলা দায়েরের পর আদালত আমার জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। পরবর্তীতে আদালত মামলাটি তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, মরিয়মের সঙ্গে কারও সম্পর্ক নেই। হোটেলের মালিক ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে তার মেয়েকে হত্যা করেছে। পুলিশ তার মেয়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে রাজি হয়নি। হত্যা মামলা করতে চাইলে তাও গ্রহণ করেনি। এদিকে নিহত তরুণ আমিনুলের বাবা মোশারফ হোসেন বলেন, প্রকৃত ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে হোটেল মালিক ওই ঘটনা সাজিয়েছে। থানা পুলিশ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা করছে না।